ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

এখনও দুঃস্বপ্ন সেই ভয়াল বিকেল

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৭ আগস্ট ২০১৬

এখনও দুঃস্বপ্ন সেই ভয়াল বিকেল

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আল্লাহর অশেষ রহমত ও দেশবাসীর দোয়ায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান শেখ হাসিনা। এক ডজনের ওপর গ্রেনেড বিস্ফোরণের সঙ্গে গুলি, এর মাঝে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বেঁচে থাকাটা অলৌকিক আশীর্বাদই বলতে হবে। তারপরও দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জনের প্রাণহানি; গ্রেনেডের বিকট শব্দে শেখ হাসিনার এক কানের শ্রবণেন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গ্রেনেডের স্পিøন্টারে আহত হয়ে পরবর্তীতে ইন্তেকাল করেন আবদুর রাজ্জাক, মেয়র হানিফের মতো জনপ্রিয় নেতা। অন্য কেন্দ্রীয় নেতাসহ আরও তিন শতাধিক আহত নেতা-কর্মী-সমর্থক শরীরে গ্রেনেডের স্পিøন্টারের যন্ত্রণা নিয়ে আজও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন। এটি কি রাজনীতি? এ কোন্ বাংলাদেশ? যার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্তে বাংলার মাটি লাল হয়? এ কোন্ বাংলাদেশ? যেখানে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়? এ কোন্ বাংলাদেশ? যেখানে পিতার সহযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়? এ কোন্ বাংলাদেশ? কৃতজ্ঞতা বলতে কিছুই কি থাকবে না? পিতার রক্তের উত্তরাধিকারকেও হত্যার চেষ্টা হয়? বার বার ১৯ বার? আল্লাহ পাকের শোকরিয়া যে, তিনি তাঁকে হেফাজত করে চলেছেন। সেদিনের কথা স্মরণ করলে আজও গা কাঁপে। কি বীভৎস ছিল ২১ আগস্টের বিকেলটি। ২০০১-এ নির্বাচনে গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে। তার চেয়েও বড় কথা এই প্রথমবারের মতো জামায়াত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতায় বসে। জামায়াতের দুই নেতা একাত্তরের আলবদর নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানায়। যে কারণে বাংলাদেশে নির্বাচনী রাজনীতি সহিংস রাজনীতিতে পরিণত হয়। ২০০১-এর নির্বাচন হয় পয়লা অক্টোবর। বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের মতো মেজরিটিও পায়। কিন্তু ফলাফল ঘোষণা শেষ না হতেই বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা আওয়ামী নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি বাড়ি হামলা চালাতে শুরু করে। মানুষ হত্যা, নারী নির্যাতন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট, গোয়ালের গরু, পুকুরের মাছ লুটÑ এক বর্বর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয় দেশব্যাপী। এমনি পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ তো ঘরে বসে থাকতে পারে না। প্রথম দিকে তো আওয়ামী লীগকে রাজপথে দাঁড়াতেই দেয়া হয়নি; কিন্তু স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দল আওয়ামী লীগ অল্পদিনেই ঘুরে দাঁড়ায় এবং ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিবাদী কর্মসূচী পালন করতে থাকে। আওয়ামী লীগকে যে দাবায়া রাখা যাবে না তা আরেকবার প্রমাণিত হলো। অল্প দিনের মধ্যেই সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসে। আওয়াজ তোলে : বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। বিএনপি-জামায়াতের একাত্তরের হিংস্রতা এতটুকু পাল্টায়নি। প্রতিরোধই একমাত্র পথ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ছিল বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ক্ষোভ মিছিল। মিছিল বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হবে। মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাসহ একটি ট্রাকে ওঠেন এবং মিছিলপূর্ব ভাষণ শেষ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ট্রাক চলতে শুরু করবে এমন সময় বিকট শব্দ করে প্রথম গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটে। কয়েক সেকে-ের মধ্যে দ্বিতীয়টি এবং এভাবে এক এক করে এক ডজনেরও বেশি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সঙ্গে গুলিও। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই মানুষ লুটিয়ে পড়তে শুরু করে। নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার চারপাশে দেয়াল সৃষ্টি এবং মানবঢাল রচনা করে কয়েক মিনিটের গুলির মধ্যেও নেত্রীকে ট্রাক থেকে নামিয়ে গাড়িতে তুলে নেন। গাড়িতেও গুলি চালানো হয়। গাড়ি বুলেট প্রুপ হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান এবং দ্রুত তাকে নিয়ে গাড়ি স্থান ত্যাগ করে। নেত্রী চলে যাওয়ার পর গুলি বন্ধ হয় ঠিকই, সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় টিয়ার গ্যাস শেলের বিস্ফোরণ। সমগ্র এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়, কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এই ধোঁয়ার মধ্যে কিছু গাড়ি দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে দেখা গেছে। টিয়ার গ্যাস বন্ধ হলে দেখা গেল বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর সামনের চত্বরটি রক্তে ভাসছে। এখানে-ওখানে নারী-পুরুষের রক্তাক্ত মৃতদেহ, বিচ্ছিন্ন হাত-পা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রক্ত গঙ্গায় ভাসছে। সাহসী একদল কর্মী রিক্সা, রিক্সাভ্যান, অটোরিক্সা এনে যেভাবে পারছে হতাহতদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটছে। একজন কর্মীর বাহুতে আইভী রহমানের নিথর দেহের দৃশ্য আজও বীভৎসতার চিত্র তুলে ধরে। বিক্ষোভ মিছিল শুরু হবে ৫টায়। শেরাটনে সকাল ১০টা থেকে সার্ক কান্ট্রি সাংবাদিকদের সেমিনার চলছিল। তাতে অংশ নেই। পৌনে ৫টার দিকে শেরাটন থেকে বেরিয়ে গাড়ি চালিয়ে প্রেসক্লাবে আসছিলাম। উদ্দেশ্য ক্লাবে গাড়ি রেখে মিছিলে অংশ নেব। গাড়ি শিশু একাডেমির পাশে এলে তৎকালীন যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন খোকা সেলফোনে গ্রেনেড বিস্ফোরণের সংবাদ দিয়ে বলল, ‘নেত্রী কেমন আছেন জানি না।’ অজানা এক শঙ্কা নিয়ে দ্রুত গাড়ি প্রেসক্লাবে রেখে জিরো পয়েন্টে গিয়ে থামতে হলো। তখনও টিয়ার গ্যাসের ঝাঁজ চোখে-মুখে লাগছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানতে পারলাম গাড়ি চলে গেছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। তখনও জানতে পারিনি ১৩-১৪টি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, সেগুলো ছিল পাকিস্তানে তৈরি আর্জেস গ্রেনেড। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল গিয়ে দেখলাম রক্ত দেয়ার জন্য মানুষের লম্বা লাইন। রায়েরবাজার শিকদার মেডিক্যালে গিয়ে দেখলাম আবদুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, নানক, এনামুল হক শামীমসহ রক্তাক্ত নেতাকর্মীদের। কেউ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, কেউ গ্রেনেডের স্পিøøন্টারে আহত হয়ে নিথর পড়ে আছেন। বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারলাম না। ওই দৃশ্য দেখার মতো নয়। শিকদার মেডিক্যাল থেকে বেরিয়ে আসছিলাম। চোখের সামনে একে একে ভেসে আসছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে গ্রেনেড, গুলি, বোমা হামলার দৃশ্যগুলো। ধানম-ির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে দুইবার গুলি চালানো হয়েছিল তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে। সেদিনও আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে রক্ষা করেন। রাসেল স্কোয়ারে জনসভা চলছিল। সর্বশেষ নেত্রী বক্তৃতা করছিলেন। তাও শেষ পর্যায়ে। এমন সময় হঠাৎ সমাবেশের পেছন দিক থেকে গুলির শব্দ। তাঁকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়। মানুষ প্রাণ ভয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করছে। গুলির সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ। একটার পর একটা। নেত্রী তখনও বক্তৃতা করছেন। মাঝে-মধ্যে পিতার মতোই ‘স্টপ ফায়ারিং’ উচ্চারণ করছিলেন। বোমার ধোঁয়ায় এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে আসছিল। বোমা-গুলিও বাড়ছিল। আমরা কয়েকজন তখনও মঞ্চের পাশে বসেছিলাম। দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বর্তমান সংসদের সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ও আমি মঞ্চে উঠে নেত্রীকে জোর করে নামিয়ে পেছনেই রাখা গাড়িতে তুলে দিলাম। তখনও গুলি-বোমা চলছিল। একটা সরু গলি দিয়ে দৌড়ে আমরা কলাবাগানে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলাম। বাড়িটি আওয়ামী লীগের এক নেতার। বাইরের ঘরে বসেছিলাম। হঠাৎ একজন এসে ভেতরে যেতে বললেন। গিয়ে দেখি আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আগেই আশ্রয় নিয়েছেন ওই বাড়িতে। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর গুলি-বোমা বন্ধ হয় এবং আমরা বেরিয়ে আসি। ময়মনসিংহ সফর শেষে আমরা জামালপুর যাচ্ছিলাম। সরাসরি স্থানীয় মাঠে যাওয়ার সময় সভাস্থলের কাছে গাড়ি লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এখানেও নেত্রী বেঁচে যান। কে বা কারা এসব গুলি ছোড়ে তা জানা যায়নি। পরদিন তৎকালীন একটি ‘বাংলা’ ও একটি ‘ইংরেজী’ দৈনিকে ছাপা হলো আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের পক্ষ-বিপক্ষ গুলি ছুড়েছে। এমনও লেখা হলো দুই পক্ষ মঞ্চে উঠেই মারামারি করে এবং ২-৩ জন মঞ্চ থেকে নিচে পড়ে যায়। তথ্য বিকৃতি আজকের মতোই ছিল সেদিনও। দৈনিক ইত্তেফাক ছিল তখন প্রভাবশালী এবং সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা। ইত্তেফাকে সত্যি ঘটনা তুলে ধরায় চক্রান্তকারীদের মুখে চুনকালি পড়েছিল। শেখ হাসিনা প্রথমবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। কোটালীপাড়া যাচ্ছেন। সেখানে শেখ লুৎফুর রহমান ডিগ্রী কলেজে তার সমাবেশের কর্মসূচী। কলেজটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের বাড়ির পাশে। একটু দূরে হেলিকপ্টার থেকে নেমে গাড়িতে উঠে সভাস্থলে যাবেন। একটি হেলিকপ্টারে নেত্রী এবং অপরটিতে আমরা সাংবাদিকরা। নেত্রীর হেলিকপ্টারটি যেখানে অবতরণ করল তার পাশেই পোঁতা ছিল একটি বোমা। অপর একটি পোঁতা ছিল কলেজের পাশে যেখানে নেত্রী গাড়ি থেকে নামার জন্য পা রাখবেন। কিন্তু আল্লাহর রহমত নেত্রী সেখানে পৌঁছার অনেক আগেই সেগুলো উদ্ধার করা হয়। কলেজের পাশে রাস্তা, রাস্তার পরে খাল, খালের ওপারে একটি চা-বিস্কুটের দোকান। দোকানের চা বিক্রেতা এক কিশোর সকালে কাপ-পিরিচ ধোয়ার জন্যে খালের পাড়ের ঘাটে নামে। তার চোখে পড়ে লাল রং একটা তার। কিশোর তারটি ধরে টান দিয়ে দেখে এটি অপর পাড়ের দিকে চলে গেছে। সে তার মালিককে ডেকে দেখালে মালিকের সন্দেহ হয়। মালিক সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে কলেজের পাশের রাস্তা থেকে একটি এবং হেলিকপ্টার অবতরণস্থল থেকে অপরটি উদ্ধার করে। একেকটি বোমার ওজন ছিল ৭৬ কেজি। জ্ঞান হারাবার মতো ঘটনা। চট্টগ্রামে পাহাড়তলীতে নেত্রীর ট্রাকে গুলি চালালে বেশ কয়েকজন সঙ্গে সঙ্গে নিহত হন। সেখানেও বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর মতো নেতৃবৃন্দ তাকে ঘিরে মানবঢাল রচনা করেছিলেন। জিরো পয়েন্টে তো নেত্রীর পাশেই গুলি লেগেছিল নূর হোসেনের বুকে। নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয় মিলিটারি এরশাদের আমলে এবং পরবর্তীতে হাফ-মিলিটারি খালেদা জিয়ার আমলে। খালেদার আমলে তো তার গুণধর পুত্র তারেক হাওয়া ভবনে বসেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছিল, এ কথা আজ প্রতিষ্ঠিত। খালেদা গং যদি এর সঙ্গে জড়িতই না হবেন তবে ২১ আগস্টের ক্রিমিনালদের কেন তার দলের নতুন কমিটিতে নিলেন? নিলেন এ জন্য যে, ওরাই তার শক্তি, যেমন শক্তি আজকের জঙ্গীগোষ্ঠী। কিন্তু এসব হামলার বিচারগুলো আজও শেষ হলো না। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। আল্লাহ পাকের শোকরিয়া তিনি শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। বাংলাদেশও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। এটাই খালেদা জিয়ার সহ্য হচ্ছে না। পুত্রধন তো মঞ্চে ওঠার আগেই বাতিল হয়ে গেছে। সর্বশেষ যে প্রশ্ন উত্থাপন করতে চাই, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কয়েকটি প্রশ্নের সমাধান হওয়া দরকার : ১. তারেকের হাওয়া ভবনে বসে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হয়, তা কি খালেদা জিয়া জানতেন না? ২. খালেদা জিয়া তখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তাহলে একা তারেক, বাবর বা পিন্টুই কেবল দায়ী হবে? খালেদা নয় কেন? ৩. জজ মিয়া নাটক তো খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেই সাজানো হয়েছিল। এতে কি তিনি কিছুই জানতেন না? ৪. হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে কেন বা কারা টিয়ার গ্যাস শেলিং করে পালিয়ে যেতে দিল? ৫. খালেদা জিয়া কি এসবের কিছুই জানতে না? এসব প্রশ্ন জনসমক্ষে আসা দরকার। ঢাকা : ২৬ আগস্ট ২০১৬ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি জাতীয় প্রেসক্লাব নধষরংংযধভরয়@মসধরষ.পড়স
×