ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ণবাদ ইস্যুতে ট্রাম্প-হিলারি বাগ্যুদ্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২৭ আগস্ট ২০১৬

বর্ণবাদ ইস্যুতে  ট্রাম্প-হিলারি  বাগ্যুদ্ধ

বর্ণবাদ ইস্যু নিয়ে একে অপরকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করলেন হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে ও ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন। বর্ণবাদ ইসুতে বৃহস্পতিবার তারা উভয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। নির্বাচনী প্রচারের শুরুর দিকে অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর মনোভাব পোষণ করলেও সম্প্রতি এ ইস্যুতে মনোভাব কিছুটা নরম করেছেন ট্রাম্প। তা সত্ত্বেও হিলারি এখনও জনসমর্থনে তারচেয়ে ১০ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। কানেক্টিকাটের কুইনেপেক ইউনিভার্সিটির করা সর্বশেষ জনমত সমীক্ষায় এটি দেখা গেছে। খবর এএফপির। বৃহস্পতিবার নেভাদার রেনো শহরে নির্বাচনী প্রচারাভিযানকালে হিলারি বলেন, চাটুকারিতা করে ট্রাম্প বর্ণবাদ ইস্যুতে সুবিধা পেতে চেষ্টা করছেন, উদভ্রান্তের মতো কথা বলে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন। হিলারি সাধারণত তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এমন কঠিন ভাষা ব্যবহার করেন না। তবে বৃহস্পতিবারের ওই সমাবেশে রিপাবলিকান প্রতিপক্ষের প্রতি হিলারির ভাষা ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কঠোর। একজন রিয়েল এস্টেট মুঘল ও রিয়ালিটি শোর উপস্থাপক হিসেবেও ট্রাম্পের পরিচিতি রয়েছে। হিলারি বলেন, ‘ট্রাম্পের রয়েছে বর্ণবাদী বৈষম্যমূলক আচরণের দীর্ঘ অতীত ইতিহাস। কর্মজীবনের শুরু থেকে তিনি বৈষম্যমূলক আচরণ করে এসেছেন।’ তিনি বলেন, ট্রাম্প যখন একজন তরুণ ডেভেলপার তখনই কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনোদের ভাড়া না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ল্যাটিনোরা ও তার ক্যাসিনোগুলোতে কর্মরত কৃষ্ণাঙ্গরা মামলাগুলো করে। ট্রাম্প সম্প্রতি উগ্র রক্ষণশীল স্টিভেন ব্যানিয়নকে যে তার ক্যাম্পেন টিমের প্রধান করেছেন সে ব্যাপারে হিলারি বলেন, এ থেকে বোঝা যায়, তথাকথিত ‘অল্ট রাইটের’ মতো চরমপন্থী শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ধ্যান-ধারণা থেকে ট্রাম্প এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘বর্ণ বৈষম্যমূলক আচরণের দীর্ঘ ইতিহাস যার রয়েছে এবং যিনি ট্যাবলয়েড পত্রিকা থেকে ইন্টারনেট পর্যন্ত সর্বত্র আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে দিচ্ছেন তার হাতে আমাদের সরকারের অথবা সামরিক বাহিনীয় নেতৃত্ব তুলে দেয়া যায় না । অন্যদিকে ট্রাম্প এদিন প্রথমে নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ার্স ও পরে নিউ হ্যাম্পশায়ারে নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালান। তিনি অভিযোগ করেন, ‘যেসব ভদ্র আমেরিকান নাগরিক আমাদের নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন হিলারি তাদের বর্ণবিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করছেন। যা একেবারেই অনভিপ্রেত।
×