অনলাইন ডেস্ক ॥ কাল সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলেন, মহাত্মা গাঁধীকে হত্যার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরএসএসকে দায়ী করেননি।
তার ২৪ ঘণ্টা পরে ফের আজ টুইট করে রাহুল গাঁধী বললেন— আরএসএস সম্পর্কে আগে যা বলেছেন, সেই বক্তব্যে এখনও তিনি অনড়।
লোকসভা নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের একটি প্রচার সভায় গাঁধী হত্যার জন্য আরএসএস-কে দায়ী করায় মানহানির মামলা হয় রাহুলের বিরুদ্ধে। গত কাল সুপ্রিম কোর্টে সেই মন্তব্য থেকে পিছু হঠার পরে মানহানি মামলা থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন এক রকম ধরেই নিয়েছেন রাহুল। সুপ্রিম কোর্টও তাঁকে রেহাই দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু আদালতে কৌশলগত কারণে এই ভোল বদল রাহুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। বিজেপিও ‘রাহুলের পিছু হটা’ নিয়ে সামাজিক সাইটে জোরদার প্রচার শুরু করেছে। সেই কারণে আজ টুইট করে পুরনো লাইনে ফেরার কথা জানালেন কংগ্রেসের এই যুব নেতা।
এ দিন টুইটে রাহুল বলেন, ‘‘আরএসএস-এর ঘৃণা ও বিভাজনের এজেন্ডার বিরুদ্ধে আমার লড়াই কখনও বন্ধ হবে না। আমি যা বলেছি, তাতে আমি অনড়।’’ এই কথা বলে লোকসভা নির্বাচনের সময় মহারাষ্ট্রে তাঁর প্রচারের ভিডিও লিঙ্কটিও জুড়ে দিয়েছেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন, আরএসএসের লোক মহাত্মা গাঁধীকে হত্যা করেছে। আর এখন তাদের লোক জন (বিজেপি) ভোট টানতে গাঁধীর কথা বলেন। আসলে আদালতে রাহুলের আইনজীবী কপিল সিব্বল এই যুক্তির আড়ালেই রাহুলকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়েছেন। সিব্বল সাফাই দিয়েছেন, রাহুল গাঁধী গোটা আরএসএসকে গাঁধী-হত্যার জন্য দায়ী করেননি। তিনি তার সঙ্গে যুক্ত লোকের কথা বলেছিলেন। আসলে এই একটি বিষয়ে আরএসএসও কিছুটা ব্যাকফুটে। কারণ, গাঁধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসে যে সঙ্ঘের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁর ভাইও সে কথা বরাবর বলেছেন। কংগ্রেস নেতৃত্ব সেটিকেই হাতিয়ার করে এসেছেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের সময় রাহুলের বক্তব্যের পর এমন একটি ধারণা তৈরি হয়েছে, যেখানে মনে হয়েছে আরএসএস-ই গাঁধীকে হত্যার জন্য দায়ী। আদালতে
রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করে সেই বিষয়টিই স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন আরএসএস নেতৃত্ব।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: