ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্ট অধিনায়ক কুক নাও আসতে পারেন বাংলাদেশে

প্রকাশিত: ২০:৫১, ২৬ আগস্ট ২০১৬

টেস্ট অধিনায়ক কুক নাও আসতে পারেন বাংলাদেশে

অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে দেওয়া হয়েছে সবুজসংকেত। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা দল বাংলাদেশ ঘুরে গিয়ে এই সফরে যাওয়ার ব্যাপারেই মত দিয়েছেন। তারপরও খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা। কেউ চাইলে স্বেচ্ছায় এই সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। যদিও এখন পর্যন্ত এই সফরে আসতে রাজি নন এমন কারও নাম শোনা যায়নি। অবশ্য টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক এই সফর থেকে সরেও যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও তাঁর কারণটা নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট নয়। একেবারেই ব্যক্তিগত। দ্বিতীয়বারের মতো বাবা হতে চলেছেন কুক। কুক তাই আছেন দোটানার মধ্যে। সন্তানের জন্মের সময় ক্রিকেটাররা স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য সফর থেকে দেশে ফিরে যান। অনেকে সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার গত বাংলাদেশ সফরের সময় যেমন এবি ডি ভিলিয়ার্স আসেননি। অথচ তিনি সেই সফর করলে অভিষেক থেকে টানা ১০০ টেস্ট খেলার বিরল রেকর্ডটা করতে পারতেন। কিন্তু পরিবারই তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কুকের জন্যও স্ত্রী অ্যালিসের পাশে থাকা জরুরি। কিন্তু দোটানা অন্য জায়গায়। অন্য সফর হলে কুক হয়তো সরেই যেতেন। কিন্তু এই সফরে অধিনায়ককে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক নিজে এই সফরে না গিয়ে তাঁর সতীর্থদের তো বলতে পারেন না, ‘তোমরা যাও’। তাঁর কারণটা যতই ব্যক্তিগত হোক না কেন। কুক এরই মধ্যে ইংলিশ অধিনায়ক হিসেবে আলাদা নজর কেড়েছেন। গতকালও যেমন তিনি এসেক্সের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ না খেলে চলে এসেছিলেন সভায়। সেখানে সবাই সম্মিলিতভাবে বৈঠক করার পর খেলোয়াড়েরা আলাদাভাবে কথাও বলেছেন। এরপরই প্রাথমিকভাবে সবাই সম্মতি দিয়েছেন বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার ব্যাপারে। ইংল্যান্ড কুকের ব্যাপারটি বিশেষ বিবেচনায় দেখবে নিশ্চয়ই। তা ছাড়া বাংলাদেশ সফর শেষে ভারত সফরে তাঁকে বেশি করে পেতে চায় দল। কিন্তু বাংলাদেশ সফরের স্পর্শকাতরতা বিষয়টিকে তাঁর জন্য একরকম জটিল করে তুলেছে। এই সফর যে শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটের সফর হয়ে থাকবে না। এটি হবে একটি মানসিক জয়। একটি বার্তা দেওয়ারও। এই সফরে অধিনায়ক নিজে না থাকলে কী হয়? ২০০৬ সালে তখনকার অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ দলের প্রয়োজনে ভারত সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ কারণে ছেলে কোরির জন্মের সময়ে পাশে থাকতে পারেননি। কুককেও তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি নিতে হবে সামনে। সূত্র: ডেইলি মেইল।
×