ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্যাশন ট্রেন্ড

ট্রেন্ডি স্লিভলেস

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২৬ আগস্ট ২০১৬

ট্রেন্ডি স্লিভলেস

গরম। স্বস্তি নেই ফ্যান-এসিতেও। সঙ্গে, যখন-তখন বৃষ্টির ধরপাকড় তো আছেই! আবহাওয়ার এ এক উদ্ভট আচরণ। ওষ্ঠাগত প্রাণ যেন সকলের। পোশাকের স্বস্তি তো কবেই হাওয়া! থ্রি-পিসের পাশাপাশি টি-শার্ট, টপস, স্কার্ট, ফতুয়াসহ গরম উপযোগী পোশাকই এখন পরতে চাইছেন সকলে। ঠিক এ সময় আবার যেন ফিরে এসেছে সেই ৭০ কিংবা ৮০ দশকের সিøভলেস পোশাকের ফ্যাশন। লিখেছেন- মাহবুবুর রহমান সজীব বর্ষাকাল শেষ। এসেছে শরত। তবে গরম কিন্তু মানছে না। তাই আপনি এ গরম থেকে বাঁচতে পরতে পারেন সিøভলেস পোশাক। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন এসেছে বাঙালী নারীদের পোশাকে। এ সময়ের মেয়েরা সেই ট্রাডিশনাল মা-খালাদের মতো শাড়ি পরেই জীবন পার করে দেবে- এমন ভাবলে ভুল হবে। ফ্যাশন ফিরে ফিরে আসে নতুনভাবে। গরমে নিজেকে সুস্থ এবং স্বস্তিতে রাখুন সিøভলেস পোশাকে। আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি সিøভলেস পোশাক এড়িয়ে চলে। এটার কারণ হচ্ছে, অনেকে মনে করেন এটি অশালীন। তবে আপনি শালীনতা বজায় রেখে পরতেই পারেন সিøভলেস ব্লাউজ, কামিজ কিংবা ফতুয়া। শাড়ির সঙ্গে হরহামেশাই সিøভলেস ব্লাউজ পরতে পারেন। আর কামিজ কিংবা ফতুয়ার সঙ্গে পরার সময় একটু খেয়াল করে ম্যাচিং একটা ওড়না দিয়ে নিন, ব্যস। এখন আপনার সারাদিন কাটবে বেশ ফুরফুরে মেজাজে। মনে রাখবেন পোশাক সবসময় আপনার ব্যক্তিত্ব বহন করে। তাই আপনার সিøভলেস পোশাকটিও যেন আপনার শারীরিক গঠন ও ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে না যায়। একটু খেয়াল করুন, আপনাদের বলছি। যাদের কাঁধ একটু চওড়া তারা সম্ভব হলে সিøভলেস এড়িয়ে চলুন। আর সিøভলেসে সৌন্দর্যের প্রথম আকর্ষণ হচ্ছে হাত। কারণ এ পোশাকে আপনার হাত বেরিয়ে থাকে। আপনার হাত সুন্দর হলে সিøভলেসে আপনাকে মানাবে ভীষণ। তবে আপনি অবশ্যই বেছে নেবেন সুতি পোশাক। সুতি যেহেতু তাপ শোষণ করে না, তাই সুতি সিøভলেসই আপনার জন্য উত্তম। তাই বেছে নিন সিøভলেস টি-শার্ট, কুর্তি, টপস, ফতুয়া, কামিজ আর ব্লাউজ। এ গরমে টি-শার্টের চেয়ে আরামদায়ক আর কিছু নেই। আর সেই টি-শার্ট যদি হয় সিøভলেস তাহলে কোন কথাই নেই। এখন মেয়েদের জন্য শপিংমলগুলোতে নামীদামী টি-শার্ট পাওয়া যায়। যেগুলো বিভিন্ন ডিজাইনের, যা পরলে আপনি থাকবেন আরামে আর দেখতেও লাগবে আধুনিক। কামিজের পাশাপাশি আজকালকার মেয়েরা আরও বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরতে শুরু করেছে। পাশ্চাত্য ফ্যাশনে জোয়ারে টপস পরা এখন আরও এক ফ্যাশন। টিনএজ ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরাই ফতুয়া বেশি পরে। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে ঘর থেকে বের হতে প্রয়োজন আরামদায়ক পোশাক। এজন্য অনেক মেয়েই বেছে নিচ্ছেন ফতুয়া। হালকা কাজ, আরামদায়ক কাপড় আর দামও হাতের নাগালে থাকার কারণে ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের দৈনন্দিন পোশাকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে এ পোশাক। বর্তমান চাহিদার বিষয় মাথায় রেখে দেশীয় ফ্যাশন ঘরগুলো তাদের সংগ্রহে রেখেছে বিভিন্ন রং ও ধরনের ফতুয়া। পাশাপাশি কাটছাঁটেও এসেছে ভিন্নতা। তাই খুব সহজেই সিøভলেস ফতুয়া পরে দৈনন্দিন জীবন অনেক আরামদায়ক করে তুলতে পারেন। অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে সিøভলেস পার্টি ড্রেসের ব্যবহার অনেক আগের। এক সময় গরমে স্বস্তির জন্য ব্যবহৃত হলেও হাল ফ্যাশনে অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে সিøভলেস কামিজ। ফ্যাশনসচেতন অনেকেই এ সময়ে স্বস্তি আর স্টাইল বিবেচনায় এ ধরনের পোশাককেই বেছে নিচ্ছেন। সিøভলেস এ্যালাইন টিউনিক এক সময় আন্ডার-গার্মেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ধীরে-ধীরে এটি সিøভলেস কামিজে রূপান্তরিত হয়ে স্বতন্ত্র একটি পোশাকে পরিণত হয়েছে। ফলে শিশু থেকে তরুণী, এমনকি মধ্যবয়সী নারীরও আজকাল পরিধেয় হয়ে উঠেছে সিøভলেস কামিজ। তবে এক্ষেত্রে তরুণীরাই নিজেদের স্টাইলিশ লুকের জন্য সিøভলেস সালোয়ার-কামিজ বেশি ব্যবহার করেন। অনুষ্ঠানে পরার জন্য শাড়ির সঙ্গে অনেকেই এখন বেছে নিচ্ছেন সিøভলেস ব্লাউজ। শাড়ির সঙ্গে মানানসই ভিন্ন রঙের সিøভলেস ব্লাউজ দেখতে বেশ ফ্যাশনেবল। ব্লাউজের কাটিং যাই হোক না কেন হাতাটা সিøভলেস হওয়াই ভাল। যা গরমে আরামদায়ক, আবার ফ্যাশনেবলও।
×