ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৬ আগস্ট ২০১৬

উবাচ

মির্জা ফখরুলের কান্না! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তৃতারত অবস্থায় কেঁদে ফেলেছেন। নিজের দলের নেতাকর্মীদের অসহায় অবস্থার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে মির্জা ফখরুলের এই আবেগ বাড়াবাড়ি নয় বরং খুব স্বাভাবিক, তিনি যোগ্য নেতার মতোই কাজ করেছেন। যে নেতা তার কর্মীদের ভালবাসে না সে নেতা কিসের নেতা? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মির্জা ফখরুল এই আলোচনা চিন্তা করলে নিজেই উপলব্ধি করতেন তাঁদের জন্যই আজ নেতাকর্মীদের এ অবস্থা। গত বছরের শুরু থেকে বিএনপি সারাদেশে আগুন জ্বালিয়ে মানুষ পোড়ানো শুরু করে। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে হরতাল-অবরোধ সফল করতে এই সহিংস আন্দোলনের পথ বেছে নেয় দলটি। শুধু মানুষ নয়, স্কুলে, ভূমি অফিসে আগুন দেয় দলের সমর্থকরা। রাজনৈতিক কর্মীদের নিশ্চয়ই রাজনীতি করার অধিকার আছে। কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে মেরে স্কুল জ্বালিয়ে কি তা করার অধিকার আছে? সহিংসতার বিচার তো প্রচলিত আইনেই হবে। এক্ষেত্রে কান্নাকাটি করে বাড়তি সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা বৃথা। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিদিন গাড়িতে আসি, যানজটে গাড়ি থামলে দেখি সব ইয়াং ছেলেপিলে ছুটে আসে। বলে, স্যার আমি তো বিএনপি করতাম লক্ষ্মীপুরে। মামলার ভয়ে পালিয়ে চলে এসেছি ঢাকায়, এখন এখানে হকারি করছি। রিক্সা চালায় আমাদের ছেলেরা, বলেই কেঁদে ফেলেন ফখরুল। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা ধরেই নিয়েছি শেষ জীবনে হয়ত জেলেই কাটাতে হবে। যত মামলা আছে সেসব মামলায় যদি ৫ থেকে ১০ বছর করে জেল হয়, তাহলে ২৫০ থেকে ২৬০ বছর সাজা হবে। ‘আরও কাঁদতে হবে’ স্টাফ রিপোর্টার ॥ মির্জা ফখরুলের কান্নাকাটির পর খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম তাঁর (ফখরুল) সম্পর্কে একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তিনি বলেছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আরও কাঁদতে হবে। ‘জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন এ তো কান্নার শুরু হলো মাত্র। কামরুল বলেন, ফখরুল ইসলাম দীর্ঘ ১২ বছর পর গ্রেনেড হামলাকে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। মির্জা ফখরুলের কান্নাকাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে কামরুল বলেন তাঁর জন্য আমারও খারাপ লাগে। ফখরুলকে আরও কাঁদতে হবে। কাঁদার শুরু হলো মাত্র, শেষ হতে অনেক বাকি। কিন্তু কিছুই করার নেই। তিনি এমন একটি দলের নেতা যে দল সন্ত্রাসী কর্মকা- ছাড়া কিছুই জানে না। তিনি বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা এখন রাজনৈতিক কর্মকা- বাদ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের রাজনীতি করছেন। কেননা জামায়াতের গর্ভেই বিএনপির জন্ম। তাই তারা সন্ত্রাসী কর্মকা- ছাড়া শান্তির কর্মকা- কখনও করতে পারবেন না। কেননা জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া এখনও বৈঠক করেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেষ্টা করেছেন। শুধু তাই নয়, গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনে তিনি বড় পদে আসন দেন। আর এতে কি স্পষ্ট নয়, তিনি স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন? শুধু তাই নয়, জঙ্গীবাদের বীজ বপন করা হয়েছে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে। আর এখন সেই জঙ্গীরা দেশে হামলা করে শেখ হাসিনার অর্জকে ম্লান করতে চায়। কিন্তু সেই আশা কখনও পূরণ হবে না। ভয় পায় স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের মানুষ নির্বাচনকে উৎসব মনে করে। গত ইউপি নির্বাচন, উপজেলা, পৌরসভা এমনকি জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি না আসার পরেও ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে বরং বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পেয়ে জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে ছিল। এরপর আর সেই ভুল করেনি। সিটি নির্বাচনগুলোতে মন দিয়ে ইলেকশন করে ভোটের ফল নিয়ে আসে তাদের পক্ষে। এমনকি ইউপি নির্বাচনেও সারাদেশে ভোটের মাঠেই ছিল বিএনপি। তবে হঠাৎ কী হলো দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের- তিনি বলছেন, মানুষ এখন নির্বাচনের কথা শুনলে ভয় পায়। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে। জনগণের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে দেশ গণতন্ত্রহীন। এ দেশে সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। কখন যে কী হয়, এ আতঙ্কে থাকে মানুষ। দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে আজকে তাদের ওপর এত অত্যাচার ও নির্যাতন করা হচ্ছে।
×