ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিসরে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন কমছে

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৬ আগস্ট ২০১৬

মিসরে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন কমছে

আরব বসন্তের পর মিসরের পর্যটন খাতে ধস নামে। এরপর সিনাই উপত্যকায় রুশ বিমান ভূপাতিত হওয়া এবং মে মাসে ইজিপ্টএয়ারের বিমান ভূমধ্যসাগরে রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যাওয়াকে দোষ দেয়া হচ্ছে। অনেকদিন থেকেই মিসরে বৈদেশিক লেনদেন এবং বিনিয়োগ চরমভাবে কমে গেছে। সরকারী রিজার্ভের পরিমাণ গত ৫ বছর ধরে পতনের দিকে এগিয়ে গেলেও এখনও পূর্বের চেহারা ফিরে পায়নি। কিন্তু জেনারেল সিসির নজর এখন মেগা প্রজেক্টের দিকে। দাতাগোষ্ঠীগুলোর অর্থ সহায়তা তিনি খরচ করেছেন বড় বড় প্রকল্পে। সুয়েজ খাল আরও চওড়া করতে গিয়ে তিনি প্রচুর টাকা ঢেলেছেন। অথচ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নে মন দিলে এত খরচ হতো না। মিসরীয়দের ভাগ্য ভাল যে, নতুন রাজধানী শহর তৈরিতে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মেগা প্রজেক্ট বাদ দেয়া হয়েছে। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার খুঁড়িয়ে চলছে মিসরের অর্থনীতি আইএমএফ এবং মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলোর প্রাণান্তকর চেষ্টার পরও খুড়িয়ে চলছে মিসরের অর্থনীতি। দেশটিতে এখন তীব্র বেকারত্ব এবং মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনীতির জন্য কোন সুসংবাদ নেই। আইএমএফ এই দুর্দশা থেকে উদ্ধার করতে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। ৩ বছরের ওই ঋণ প্যাকেজ মিসরের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কোন ভূমিকাই রাখতে পারছে না। ব্লুমবার্গের এক সাম্প্রতিক সম্পাদকীয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সেখানে বলা হয়, ইসলামপন্থী সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর জেনারেল সিসির সরকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিতে তার কোন ছাপ পড়েনি। মিসরের সরকারী তথ্যমতে, দেশটিতে এখন বেকারত্বের হার ১৩ শতাংশ এবং যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্বের হার এর প্রায় দ্বিগুণ। জিডিপিতে ৭ শতাংশ বাণিজ্য ঘাটতি এবং বাজেটের ১২ শতাংশ ঘাটতি নিয়ে চলছে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার
×