ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রকের সেবা অনলাইনে

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২৬ আগস্ট ২০১৬

আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রকের সেবা অনলাইনে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পাল্টে যাচ্ছে আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রক দফতরের কার্যক্রম। আগামী ডিসেম্বর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারী দফতরের অধিকাংশ সেবাই পাওয়া যাবে অনলাইনে। আমদানি-রফতানি নিবন্ধন সনদের জন্য যেমন আবেদন করা যাবে ঘরে বসে, তেমনি তা পাওয়াও যাবে অনলাইনেই। এতে অনিয়ম ও ভোগান্তি কমার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। যে কোন পণ্য আমদানি কিংবা রফতানির জন্য অপরিহার্য আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রক দফতরের সনদ। এসব সনদের নবায়ন, ফেরত আসা পণ্যের পুনঃরফতানির অনুমোদনসহ মোট ৫৫ ধরনের সেবার জন্য যেতে হয় এ দফতরে। আগে এসব সেবা পেতে ব্যবসায়ীদের ঘুরতে হতো দিনের পর দিন। কোন কোন সময় গুনতে হতো বাড়তি অর্থ। তবে এখন চিত্র পাল্টাচ্ছে। আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রকের দফতরে শুরু হয়েছে অটোমেশন। প্রথম পর্যায়ে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দফতরে স্মার্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে আমদানি নিবন্ধন সনদ দেয়া হচ্ছে ২ থেকে ৪ দিনে। আমদানি রফতানিকারকদের আশা অনলাইন লাইসেন্সিং মডিউল চালু হলে, ঘরে বসেই সনদ প্রাপ্তিসহ প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন তারা। দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তার আশা, এতে সময় যেমন কম লাগবে, তেমনি বাড়বে রাজস্ব আয় ও বিনিয়োগ। সংশ্লিষ্টদের মতে, পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন নিশ্চিত করতে প্রধান আমদানি রফতানি নিয়ন্ত্রক দফতরসহ ১৪টি আঞ্চলিক অফিসে শূন্য পদে জনবল নিয়োগ ও লজিস্টিক সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন। ভারতের মধ্যপ্রদেশে বিনামূল্যে পেঁয়াজ অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ পেঁয়াজের পচন রোধ করতে না পারায় এখন তা বিনামূল্যে বিলিয়ে দিচ্ছে ভারতের মধ্য প্রদেশের রাজ্য সরকার। এর ফলে ওই রাজ্যের সরকারের প্রায় ১০০ কোটি রুপী লোকসান হবে। ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের সরকারি গুদামে ৩ লাখ ২৮ হাজার কুইন্টাল পেঁয়াজ মজুদের পর সরকার বিনা মূল্যে পেঁয়াজ বিতরণের এ ঘোষণা দেয়। জানা গেছে, গত মে মাসে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান কৃষকদের থেকে ৬ রুপী কেজি দরে পেঁয়াজ কেনার ঘোষণা দেন। সেই অনুসারে রাজ্য সরকারের ক্রয় বিভাগ ১০ লাখ ৪০ হাজার কুইন্টাল পেঁয়াজ কেনে। কিন্তু এই পরিমাণ পেঁয়াজ সংরক্ষণের সক্ষমতা রাজ্য সরকারের না থাকায় বেশির ভাগ পেঁয়াজ পচতে শুরু করে। পচন ধরার পরে রাজ্য সরকার পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য টেন্ডার ডেকে নিলামেরও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এত কম দাম হাঁকে যে সরকার বিক্রির সিদ্ধান্ত বাতিলে বাধ্য হয়। এরপরই সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, এই বাড়তি পেঁয়াজ ন্যায্য দামের দোকানগুলোতে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। তবে গ্রাহকরা কিন্তু একেবারে বিনি পয়সার পাবেন না এই পেঁয়াজ।
×