ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১১তম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে প্রাক-যোগ্যতাপত্র দেয়া হয়

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে সনদপত্র পেল সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২৬ আগস্ট ২০১৬

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে সনদপত্র পেল সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে প্রাক-যোগ্যতা সনদপত্র পেয়েছে ইউনিক গ্রুপের ‘সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন’। গত বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুর আলীর হাতে সনদপত্র তুলে দেন। বেসরকারী খাতে ১১তম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে এ সনদপত্র প্রদান করা হয়। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ফিরোজপুর ইউনিয়নে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে। অনুষ্ঠানে নুর আলী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশ যাচ্ছেন। এ অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে বিদেশ যেতে হবে না। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশ একদিন মালয়েশিয়াসহ অন্য দেশের জন্য উদাহরণ হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, বেসরকারী খাতে এর আগে ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন হবে দেশ সেরা, মডেল জোন। এ জোনে বিনিয়োগে ইতোমধ্যে ভারত, জাপান, চীনসহ কয়েকটি দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মডেল জোন হলে এখানে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ৩০০ একর জমি হলেও ভবিষ্যতে ৬০০ একরের হবে এ জোন। এখানে রফতানিযোগ্য পণ্য বিশেষ করে এলপিজি, মোটরবাইক, পেট্টো কেমিক্যাল, মোবাইলসহ ভারি কারখানা হবে। বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, বেজা ইতোমধ্যে ২০২ একর জমি উন্নয়ন করেছে। আগামী এক বছরে ৭৫ হাজার একর জমি উন্নয়ন করবে। তিনি জানান, বেসরকারি খাতে ইতোমধ্যে স্বনামধন্য ১০টি বড় কোম্পানিকে ইকোনমিক জোনের সনদপত্র দেয়া হয়েছে। আরো ১০টি জোনের সনদপত্র প্রসেসিং আছে। এছাড়া ৪টি বড় জোন পিপিপিতে দেয়া হবে। সিরাজগঞ্জ ১০৩২ একরে দেশের সবচেয়ে বড় জোন ও শরীয়তপুরে ৫২৫ একর জমিতে জোন দেয়া প্রক্রিয়াধীন। বেসরকারি খাতে জোন করতে অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখাচ্ছে। হয়রানিমুক্ত ও বিনিয়োগ সুবিধা সংবলিত সুযোগ দিতে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
×