ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

২৮ আগস্ট সার্কাস সার্কাস

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৫ আগস্ট ২০১৬

২৮ আগস্ট সার্কাস সার্কাস

আজাদ আবুল কালামের রচনা এবং নির্দেশনায় প্রাচ্যনাটের চতুর্থ প্রযোজনা মঞ্চনাটক সার্কাস সার্কাস আসছে ২৮ আগস্টে। সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে বহুল প্রতীক্ষিত সার্কাস সার্কাস মঞ্চনাটকটি। সার্কাস সার্কাস প্রাচ্যনাটের প্রথম মূলধারার নাট্য প্রযোজনা। একঝাঁক তরুণের এক সাহসী পদক্ষেপ এই ‘সার্কাস সার্কাস’। প্রথম প্রদর্শনীর পর খুব শীঘ্রই এই প্রযোজনাটি বছরের সেরা প্রযোজনাগুলোর একটি হিসেবে মর্যাদা পায়। ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) এর ১৯৯৮ এর বাৎসরিক প্রতিবেদনে সার্কাস সার্কাস কে নতুন একটি দলের প্রযোজনা হিসেবে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় প্রযোজনা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ‘দ্য গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নামে একটি সার্কাস দল তার প্রতিষ্ঠাতার হাত ধরে এক সময় প্রচুর খ্যাতি অর্জন করে। দলটি এখন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে প্রতিষ্ঠাতার ভাই। তিনিই সার্কাস দলটিকে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ধ্বংসাবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলেন। ঘটনাক্রমে, সার্কাস দলটি একটি গ্রামে আসে শো করতে। দলটিতে সমস্যার অন্ত নেই। অদক্ষ খেলোয়াড়, সদস্যদের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত দলটি। সমস্যা আরও ঘনীভূত হয় যখন মৌলবাদের কালো থাবা এসে পড়ে। স্থানীয় ধর্মীয় প্রভাবশালী নেতারা সার্কাস শো বন্ধ করার জন্য হুমকি দেয়। শুধু দলের বাইরে থেকে নয়, ভেতরেও কলহের সূত্রপাত হয়। এমনি এক সময়ে ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা তাদের অন্ধ ঘৃণার ছোবল হানে সার্কাস দলটির ওপর। দ্য গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস এ আগুন দেয়া হয়। লাশ পড়ে তিন খেলোয়াড়ের, ভস্মীভূত হয় সার্কাসের সব পশু। মঞ্চনাটক সার্কাস সার্কাস এর মঞ্চ, আলো এবং মুখোশ পরিকল্পনা করেছেন মোঃ সাইফুল ইসলাম। সহকারী পরিচালনা এবং পোশাক পরিকল্পনায় আছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন এবং ধ্বনি আয়োজনে রাহুল আনন্দ। আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
×