ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বান্দরবানে সংরক্ষিত বন

কাঠ পাচারে এবার জেএসএস

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৫ আগস্ট ২০১৬

কাঠ পাচারে এবার জেএসএস

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ২৪ আগস্ট ॥ বান্দরবানে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজির পর এবার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাঠ পাচারের অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) বিরুদ্ধে। থানচির সরকারী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ‘সাংগু রিজার্ভ ফরেস্ট’ এলাকায় অবৈধভাবে গর্জনসহ মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিধন করছে গত একমাস ধরে। জানা গেছে, ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল সাংগু রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকার ২ হাজার ৩৩১ হেক্টর বনাঞ্চল জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য। তবে সম্প্রতি এই রিজার্ভের গাছ কেটে কাঠ পাচারের ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ তথা বন্যপ্রাণীদের অভায়ারণ্য, অন্যদিকে বৃক্ষ নিধনের ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের ঝিরি-ঝর্ণা। ফলে আদিবাসী পল্লীগুলোতে বর্ষা মৌসুমে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। শ্রমিক (রোহিঙ্গা) শামসুল আলম বলেন, জেএসএস নেতারা চকরিয়া থেকে আমাদের এনেছে গাছ কাটার জন্য, আমরা জানি না ফরেস্টের গাছ কাটা নিষেধ কিনা। আরও জানা গেছে, থানচির ম্রংগং মারমা পাড়ার নিচে, রিজার্ভের ইয়াংরে ঝিরির উপরে, লগনা ঝিরি এলাকার নদীর পাশে পাচারের জন্য প্রায় ৬ হাজার ঘনফুট অবৈধ কাঠ মজুদ করে রাখা হয়েছে। এসব কাঠ কৌশলে নদীপথে থানচি সদরে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া হয়েছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা, স্বল্প বেতনে শত শত রোহিঙ্গাকে কাঠ কাটার জন্য নিয়োগ দেয় পাচারকারীরা। স্বাধীনতার পর থানচির বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছ কেটে পাচার করলেও এই প্রথম দুর্গম এলাকায় অবস্থিত রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে গাছ কেটে পাচারের জন্য মাঠে নেমেছে সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জনসংহতি সমিতির থানচি উপজেলা সভাপতি চসাথোয়াই মারমার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গোয়েন্দা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, জনসংহতি সমিতির থানচি উপজেলা সভাপতি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা এবং বড়মদক এলাকার নেতা চসিং মং মার্মা, জিনিয়ং মার্মা, উচানু মার্মা, শৈক্যাচিং মার্মাসহ অনেকের নেতৃত্বেই সরকারী বনাঞ্চলের গাছ কর্তন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বান্দরবান বন বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুল কৃঞ্চ দাশ জানান, তিনি থানচির বন রেঞ্জ কর্মকর্তাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
×