ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে আলোর মুখ দেখছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৫ আগস্ট ২০১৬

অবশেষে আলোর মুখ দেখছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বমানের প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির কাজ। এরপর, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনসহ নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে প্রকল্পটি। এরই মধ্যে রাস্তা নির্মাণসহ সরকারী উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ২৪টি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে পিপিপির মাধ্যমে গড়ে তোলা এই প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণে অনেকটাই পিছিয়ে বেসরকারী উদ্যোক্তারা। ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি। রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দেড় যুগের বেশি সময় ফাইল বন্দী থাকার পর স্বপ্নপূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের এই প্রকল্প। যেখানে তৈরি হবে হার্ডওয়ার-সফটওয়ারসহ অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি পণ্য। এরই মধ্যে প্রকল্পের বর্জ্য শোধনাগার, কাস্টমস হাউস ও লেক সংযোগ ব্রিজের কাজ শেষ পর্যায়ে। এগিয়ে চলছে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম ডাটা সেন্টারের অবকাঠামো নির্মাণের কাজও। আর বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সহজে লাইসেন্স প্রাপ্তি, কাঁচামাল আমদানিতে করমুক্তসহ ব্যবসাবান্ধব বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকছে এই প্রযুক্তি পার্কে। তবে তেমন অগ্রগতি নেই দুটি বেসরকারী কোম্পানির অধীনে নির্মাণাধীন শপিংমল, দেশী-বিদেশী কোম্পানির জন্য পৃথক জোন নির্মাণসহ বেশিরভাগ কাজ। সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ৫টি ব্লকের মধ্যে ২টি ব্লকের দায়িত্ব পাওয়া সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেডের কাজে। এক্ষেত্রে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বিশেষজ্ঞদের। তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নেয়া হবে। অবিরাম টু টাং শব্দে এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির নির্মাণ কাজ। অবসান হচ্ছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার। পার্কটি চালু হলে এখানেই তৈরি হবে বিশ্বমানের প্রযুক্তি পণ্য। যা রফতানি করে আয় হবে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা। সেই সঙ্গে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কমবে মেধা পাচারÑ এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। গ্যাসের দাম এক টাকা বাড়ালে নাগরিক জীবনে ব্যয় বাড়বে ১০ টাকা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গ্যাসের দাম ১ টাকা বাড়লে নাগরিক জীবনে ১০ টাকার ব্যয় বাড়বে বলে মনে করেন তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারার প্রতিবাদে ‘জনতার গণশুনানি’তে তিনি এ মন্তব্য করেন। আনু মোহাম্মদ বলেন, অর্থনীতির ভাষায় গ্যাসের দাম বাড়লে গুণীতক প্রভাব পড়বে জনগণের ওপর। সরকার যদি গ্যাসের দাম ১ টাকা বাড়ায় তাহলে নাগরিক জীবনে ১০ টাকার ব্যয় বাড়বে। গ্যাসের দাম বাড়লে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়বে, দৈনন্দিন জীবনের ব্যয়, বাসা ভাড়াসহ সব ক্ষেত্রেই ব্যয় বাড়বে। তিনি বলেন, সরকারের ভুলনীতি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতি না থাকলে গ্রাহকদের আরও কম দামে গ্যাস দেয়া যেত। বিদেশী কোম্পানির স্বার্থের কথা চিন্তা করে সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের ভুলনীতির কারণে গ্যাসের উৎপাদন খরচ বাড়ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, ভুল নীতিতে গ্যাসের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়ছে। সিলিন্ডার গ্যাসের প্রতি জনগণের আগ্রহ বাড়াতেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে গণশুনানিতে আরও বক্তব্য দেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি রুস্তম আলী খান, ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার প্রমুখ।
×