ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তান এখন নাম্বার ওয়ান

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৪ আগস্ট ২০১৬

পাকিস্তান এখন নাম্বার ওয়ান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কার্যত ক্রিকেটে নতুন এক ইতিহাস গড়ল মিসবাহ-উল হকের দল। ২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিক আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিং চালু হওয়ার পর এই প্রথম এক নম্বরে উঠে এলো পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কা সফরে ৩-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হয়ে শীর্ষস্থান হারায় প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়া। তখন জায়গাটা দখল করে ভারত। তবে ইংল্যান্ডে দারুণ ক্রিকেট উপহার দেয়া মিসবাহ-উল হকের পাকিস্তান ২-২এ সিরিজ ড্র করে তাদের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছিল। কোহলিদের শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে উইন্ডিজ সফরে শেষ টেস্টে জিততেই হতো। কিন্তু বৃষ্টিতে ড্র হয় সেটি। ১১১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো চূড়ায় ওঠে পাকিস্তান। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার রেটিং ১১০ ও ১০৮। ১০৮ ও ৯৯ রেটিং নিয়ে পরের দুটি স্থানে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। অর্ধযুগেরও বেশি সময় ঘরের মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারছে না পাকিস্তান, এরপরও তাদের এই সাফল্য অসাধারণ। অনুভূতি জানাতে গিয়ে সেটিই বলেছেন সেনাপতি মিসবাহ। আর ঐতিহাসিক অর্জনের জন্য অধিনায়কে বিশেষ কৃতিত্ব দিয়েছেন সাবেক কোচ ও তারকা ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনুস। ব্যাট হাতে-নেতৃত্বে মিসবাহর অবদান অনেক। অবদান রয়েছে সাদা পোশাকে ব্যাটিং-বোলিংয়ের দুই প্রধান অস্ত্র ইউনুস খান আর ইয়াসির শাহরও। অধিনায়ক মিসবাহ বলেন, ‘এটা আকস্মিক কিছু নয়। এই সাফল্য টেস্ট নিয়ে পাকিস্তানের পরিকল্পনার ফসল। দল হিসেবে কয়েক বছর আগেই আমরা যে ছক কষেছিলাম, ১ নম্বর হওয়াটা তারই পুরস্কার। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডের মতো সেরা সব দলকে পেছলে ফেলে এই অর্জন অনেক গর্বের।’ দেশে ক্রিকেট না থাকার পরও অব্যাহত সমর্থনের জন্য পাকিস্তানীদের বিশেষ ধন্যবাদ দেন মিসবাহ। ২০১৪ সালের অক্টোবর হতে ৬ নম্বর থেকে শীর্ষে উঠে আসার পথে নিজেদের শেষ ৬ সিরিজের একটিতেও হারেনি পাকিরা। জয় ৪ ও ড্র ২ । ১৭ ম্যাচের ১০টিতেই জিতেছে মিসবার দল, ড্র ৩! সত্যি অসাধারণ। হিসেবটা এক বছর পিছিয়ে ধরলে জয়-পরাজয় ১৩:৯। এ সময়ে ব্যাট হাতে অভিজ্ঞ ইউনুসের গড় ৬২.৯৫, লেগস্পিনার ইয়াসিরের শিকার ৯৫ উইকেটÑ দু’জনের অবদান তাই অনুমেয়। তবে ঘরে-বাইরে কঠিন পরিস্থিতি সামলে অর্জনের জন্য অধিনায়ক মিসবাহর কৃতিত্ব চোখে বড় করে দেখছেন ওয়াকার, ‘কত সমালোচনা সহ্য করেছে সে, কখনও মুখ থেকে একটি বাজে কথাও শোনা যায়নি। আমরা এখন শীর্ষের চেয়ে বেশি আর কি আশা করা যায়? এটা মিসবাহর সততা ও ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসারই ফসল। ওর জন্য টুপি খোলা অভিনন্দন।’
×