ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিলু শামস

‘সৃজনশীল’ এর বন্যায় ভেসে যায় সাহিত্যবোধ

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৪ আগস্ট ২০১৬

‘সৃজনশীল’ এর বন্যায় ভেসে যায় সাহিত্যবোধ

হেলেন কেলারের আত্মজীবনীমূলক বই অ ফধৎশবহবফ ড়িৎষফ- এর অংশ বিশেষ নবম-দশম শ্রেণিতে অমাদের পাঠ্য ছিল। অন্যান্য গদ্যের মতো এটাও পড়াচ্ছিলেন ইংরেজি র‌্যাপিড রিডার্সের শিক্ষক। আমরাও পড়ে যাচ্ছিলাম সিলেবাসের চৌহদ্দী ডিঙাতে যতটুকু পড়তে হয় ঠিক ততটুকু। অথবা শিক্ষক যেভাবে পড়াচ্ছেন সেভাবে। তাতে জেনেছিলাম অন্ধ ও বধির এক নারী হেলেন কেলারের জীবনের নানা প্রতিবন্ধকতার কথা। এর মধ্যে যে শিক্ষক র‌্যাপিড রিডার্স পড়াচ্ছিলেন তিনি বদলি হওয়ায় একদিন ক্লাসে এলেন নতুন শিক্ষক আরমান স্যার। তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে এলেও জানালেন এখন থেকে সপ্তাহে একদিন সাহিত্যের এ ক্লাস নেবেন। শুরুতেই তিনি সবাইকে অ ফধৎশবহবফ ড়িৎষফ কথাটার মানে জিজ্ঞেস করলেন। আর কিছু না হোক, লেখার শিরোনামের অর্থ সবার জানা। সম্মিলিত স্বরে উত্তর এলো ‘একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবী’ স্যার। স্যার বললেন, ঠিক বলেছ। আচ্ছা কেউকি বলতে পারবে অ ফধৎশবহবফ ড়িৎষফ কেন? ওয়ার্ল্ড বা পৃথিবী তো একটাই। তাহলে তার আগে ‘একটি’ কেন? এবার সম্মিলিত নীরবতা। তাই তো একটি কেন? এ প্রশ্ন তো মনে আসেনি কখনও। আগের স্যারও তো এ বিষয়ে কিছু বলেননি। কারও কাছ থেকে উত্তর না পেয়ে স্যার বলতে লাগলেন- শোনো, পৃথিবী একটাই। এক পৃথিবীতেই উত্তর গোলার্ধ দক্ষিণ গোলার্ধের ভিন্ন ভিন্ন মানবগোষ্ঠীর বাস। কিন্তু এ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের রয়েছে একটি করে নিজস্ব পৃথিবী। যা শুধুই তার। তার নিজস্ব ভাবনা-অনুভূতি-চিন্তা-কল্পনার জগত। এখানে একজনের পৃথিবী অন্যের থেকে আলাদা। জন্মের পর কঠিন অসুখে হেলেন কেলার দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি হারিয়ে যে অন্ধকারাচ্ছন্ন জগতে প্রবেশ করেন সে জগতের অভিজ্ঞতা-অনুভূতি শুধুমাত্র তারই। এ জন্য লেখার শিরোনাম অ ফধৎশবহবফ ড়িৎষফ । মুহূর্তে চোখ খুলে যায়। এতদিন যে ছিল অন্ধ ও বধির এক প্রতিবন্ধী নারী। বিরক্তি নিয়ে যে পাঠের ‘ব্রড কোয়েশ্চেন’ ‘শর্ট কোয়েশ্চেন’ মুখস্থ করেছি হঠাৎই তার প্রতি অনুভূত হয় গভীর মমতা। ‘অন্ধ ও বধির’-এর মতো কর্কশ শব্দের জায়গায় আলোহীন, শব্দ-বর্ণহীন একটি জীবনের করুণ বাস্তবতা সামনে এসে দাঁড়ায়। সত্যিই তো দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তির জগতে আলো আছে। বর্ণ আছে সঙ্গীত আছে। ফুল-পাখি, পাহাড়-নদী সবই আছে। আর হেলেন কেলারের...। এই প্রথম ইচ্ছে জাগে ওই যন্ত্রণাময় জগত অনুভব করে দেখার। আগ্রহ জাগে ওই অন্ধকার তিনি কীভাবে জয় করেছিলেন তা জানার অ ফধৎশবহবফ ড়িৎষফ এর পুরো টেক্সট ধরা দিয়েছিল ভিন্ন ব্যঞ্জনায়। সাহিত্যের কাজই এই। অন্তরকে আলোকিত করা। মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ জাগিয়ে অধিকতর মানবিক করা। কত আগের কথা! তবু আরমান স্যারের কথা বার বার মনে পড়ে। একজন সত্যিকারের শিক্ষক কীভাবে শিক্ষার্থীর মনে কৌতূহল জাগিয়ে সাহিত্যের বোধ তৈরি করতে পারেন। আজও অভিভূত হই কত অল্প কথায় সহজ করে পুরো বিষয়ের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিই পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির কাজ একটি পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই করতে হয়। পরিবারের ভূমিকা যদিও আরও প্রাথমিক তবে শিক্ষার বুনিয়াদ তৈরিতে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্যপাঠ, সাহিত্যের রুচি ও বোধ তৈরি হওয়ার শুরু এ সময় থেকেই। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় তা কতটুকু নিশ্চিত হচ্ছে? পাঠক্রম এবং পাঠদানকারী অর্থাৎ শিক্ষক, শিক্ষার্থীকে কতখানি সাহিত্য বোধসম্পন্ন করে গড়ে তুলছেন? এ প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার এ জন্য যে সাহিত্য ও ইতিহাসবোধহীন মানুষ পরিপূর্ণ মানুষ হতে পারে না। এই যে সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় শতকরা বাহাত্তর দশমিক সাতচল্লিশ ভাগ গড় পাসের হার নিয়ে সারাদেশে এত শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হলো তাদের মনে সাহিত্য কতটা আলো ফেলল সে খোঁজ রাখার অবকাশ কারোরই তেমনভাবে হয়ে ওঠে না। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে তথাকথিত ‘সৃজনশীল’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়েছে দু’হাজার বার থেকে। ওই বছরই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সাহিত্য পাঠের কিছু উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে দেয়। সেগুলো হলো- এক. বাংলা ভাষার বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব ও অন্তর্নিহিত শৃঙ্খলা সম্পর্কে ধারণা সংহতকরণ। দুই. প্রমিত বাংলা ভাষা ব্যবহারে নৈপুণ্য অর্জন। তিন. পাঠের মর্মবস্তু অনুধাবন, সাহিত্যের রসোপলব্ধি ও পাঠাভ্যাসে আগ্রহী হওয়া। চার. বিষয়বস্তুর যুক্তিপূর্ণ উপস্থাপনায় পারদর্শিতা অর্জন। পাঁচ. নৈতিকতা, ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা সামাজিক মূল্যবোধ ও চারিত্রিক গুণাবলীর বিকাশ সাধন। ছয়. অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হওয়া ইত্যাদি। সাহিত্য পাঠের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে যা বলা হয়েছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করা কঠিন। শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হলে ধরে নেয়া যায় আমাদের শিক্ষার্থীরা চমৎকার সাহিত্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাস্তবতা একেবারেই অন্যরকম। ‘সৃজনশীল’ প্রশ্ন পদ্ধতি আমাদের এখানে চালু হয়েছিল কেমব্রিজ ও এডেক্সেল কারিকুলামের অনুকরণে। কিন্তু এ কারিকুলাম সৃজনশীলতা বিকাশের বিষয়টি যেভাবে নিশ্চিত করেছে আমাদের দেশের বাস্তবতায় বাংলা মাধ্যমে তা এখনও সম্ভব হয়নি। ‘সৃজনশীল’ পদ্ধতি নামে যে গাল ভরা শব্দ চালু হয়েছে তা আসলে সৃজনশীল নয় বরং তার উল্টো। ঢাকা বোর্ডের এক সময়ের চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বিভিন্ন সাক্ষাতকার ও বক্তৃতায় একে ‘কাঠামোবদ্ধ’ (ঝঃৎঁপঃঁৎবফ) প্রশ্ন বলেছেন। আসলেই তাই সৃজনশীল শব্দটি চালু হয়েছিল আবদুল্লাহ আবু সাঈদের প্রস্তাবে। ‘কাঠামোবদ্ধ’র ঠ মূর্ধা ধ্বনি সুতরাং এর উচ্চারণ অসুবিধাজনক-এ অজুহাতে। আর মোহাম্মদ জাফরইকবালের মনে হয়েছিল ‘শব্দটি ‘কটমটে’ তাই এ নামটাকে পাল্টে সৃজনশীল করে দেওয়া হয়েছিল।’ এ প্রশ্নের বিশেষ বৈশিষ্ট্যই হলো নির্দিষ্ট একটি কাঠামো বা ছকের মধ্যে এর প্রশ্ন ও উত্তর সীমাবদ্ধ। সৃজনশীলতার সত্যিকার বিকাশের সুযোগ এখানে কম। বিশেষ করে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবতায়। কেমব্রিজ, এডেক্সেলে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা বিকাশের জন্য গাইডলাইন দেয়া থাকে। কিভাবে একজন শিক্ষার্থী নির্ধারিত পাঠের বাইরে আরেকটি পাঠ থেকে নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবে তা শেখানো হয়। সে জন্য তাদের জন্য আলাদা বই নির্ধারিত থাকে। যেমন পাঠ্যসূচীতে ও’হেনরির কোন গল্প থাকলে পাঠসূচীর বাইরে এই মানের আরেক সাহিত্যিকের গল্প থাকে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা যাচাইয়ের জন্য। সেখান থেকে প্রশ্ন করে তার সাহিত্যবোধের স্তর যাচাই করা হয়। আমাদের দেশে এর দুর্বল অনুকরণ করতে গিয়ে কী ধরনের স্থূলতার আশ্রয় নেয়া হয় তার দু’একটি নমুনা- ‘আমেনা খাতুন প্রতিদিন সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফেরে। তিন কন্যা-তিন ছেলের মা সে। কন্যাদের বিয়ে দেয়ার পর ছেলের বউয়ের সেবা প্রত্যাশা করে। স্বামীর মৃত্যুর পর যে ঘরটাতে থাকত সেটা ভাগে পেয়েছে ছোট ছেলে। এখন বারান্দায় ঘুমায়। একদিন বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যায় তার। সারা দিনের কাজ সেরে নাতিদের জন্য কিছু মিষ্টান্ন নিয়ে আসে। কিন্তু বাড়িতে আর ঢুকতে পারে না। সদর দরজা বন্ধ। বাইরে থেকে সে ডাকে তার ছেলেকে, ছেলের বউকে। কেউ সাড়া দেয় না’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত ‘সোনার তরী’ কবিতার পাঠ মূল্যায়নের জন্য ঝঃবস বা উদ্দীপক নির্ধারণ করা হয়েছে এ গদ্যাংশটি। এ থেকে সোনার তরী কবিতার পাঠ মূল্যায়ন করা হবে। যেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তা হলো, ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন? খ. ‘ধান কাটা হলো সারা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? গ. উদ্দীপকের আমেনা খাতুনের সঙ্গে সোনার তরী কবিতায় বর্ণিত কৃষকের কি কোন সাযুজ্য আছে? থাকলে বর্ণনা কর। ঘ. প্রত্যেক মানুষের স্বাভাবিক পরিণতি বহন করছে আমেনা খাতুন- আলোচনা কর। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের উদ্দীপকটি এ রকম- ‘নিয়ামুল, কবির এবং টিপু তিন বন্ধু। একটি কর্পোরেট অফিসে উদয়াস্ত খাটে তারা। টিপু ইডি স্যারের খুব কাছের লোক। কবির কাজে খুব মনোযোগী এবং পারঙ্গম। নিয়ামুল কবিরের খুব ভক্ত। প্রাতিষ্ঠানিক বা ব্যক্তিগত যে কোন সমস্যায় নিয়ামুল কবিরের ওপর নির্ভরশীল। কবির সারা মাস কাজ করার পর বেতন নেয়ার সময় প্রায়ই আফসোস করে- টিপু ইডি স্যারের লোক হওয়ায় সে বেতন নেয় তাদের চেয়ে বেশি। কবির মাঝে মধ্যে ক্ষুব্ধ হয়, ভাবে চাকরি ছেড়ে দেবে। কিন্তু সংসারের কথা ভেবে চাকরি আর ছাড়ে না। অপেক্ষায় থাকে সুদিনের।’ এ থেকে উত্তর বের করতে হবে- ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাসের নাম কি? এটি কোন্ সালে প্রকাশিত হয়? খ. ‘জিরানের লাইগা মরস ক্যান ক দেহি’- উক্তিটি কার? কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলে? গ. উদ্ধৃতির ‘কবির’ চরিত্রটি পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের কোন চরিত্রের সঙ্গে মিল আছে কি? মিল থাকলে আলোচনা কর। ঘ. আঞ্চলিক উপন্যাস হিসেবে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র সার্থকতা আলোচনা কর। এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষকদের সাহিত্য পাঠ দেয়ার নমুনা। ‘সোনার তরী’ কবিতা পড়ে শিক্ষার্থীর উপলব্ধি যাচাই হতে পারে আরেকটি কবিতা দিয়েই। কবিতার ছন্দ বক্তব্য শিল্পরূপ অন্তর্নিহিত দর্শন ইত্যাদির তুলনা চলে কবিতার সঙ্গেই। এ কবিতার জন্য যিনি উল্লেখিত উদ্দীপক তৈরি করেছেন তিনি কতখানি গ্রাম্য, স্থূল এবং সাহিত্য রুচিবোধ বর্জিত তা ব্যাখ্যা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ প্রসঙ্গেও একই কথা। এ ধরনের আরেকটি উপন্যাস দিয়েই পদ্মা নদীর মাঝির পাঠ আত্মস্থের বিষয়টি যাচাই করা সম্ভব। সাহিত্যবোধ বিচার করা যদি সৃজনশীলতার উদ্দেশ্য হয় তাহলে উল্লিখিত উদ্ধৃতি দুটো তা কতটা করতে পারছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। এখানে ব্যবহার করা উদ্দীপকের কোনটারই সাহিত্য মূল্য নেই। এ ধরনের উদ্দীপক দিয়ে সাহিত্যের মর্মোপলব্ধি, শিল্পরূপ সম্পর্কে ধারণা, মূল্যবোধ তৈরি বা শিক্ষার্থীর বর্ণনা দক্ষতার প্রকাশ কতটা সম্ভব তা আন্দাজ করতে অসুবিধা হয় না। এর চেয়ে নির্মম হলো শিক্ষার্থীদের মূল টেক্সটও পড়তে হয় না। শিক্ষকদের তৈরি শর্টকাট পদ্ধতি এবং গাইড বই খুব সহজে জিপিএ ফাইভ নিয়ে তাদের উত্তীর্ণ হওয়ার সহজসাধ্য পথ বাতলে দেয়। প্রশ্নপত্রের একটি বড় নম্বর বরাদ্দ থাকে এ প্রশ্নের জন্য। নম্বর বণ্টনেও বিশাল এক চক্কর আছে। যা এখানে উল্লেখ করার সুযোগ নেই। সুতরাং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাহিত্য পাঠের উদ্দেশ্যগুলো কতটা পূরণ হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা কতটা সাহিত্যবোধ সম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠছে তা সহজেই অনুমান করা যায়।
×