ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এবার ছাত্রকে শাসন করে মার খেলেন স্কুল শিক্ষক

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৪ আগস্ট ২০১৬

এবার ছাত্রকে শাসন করে মার খেলেন স্কুল শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ ছাত্রকে শাসন করায় এবার এক স্কুলশিক্ষককে মারধর করল শিক্ষার্থীর বাবা। এতে আহত হন ঐ শিক্ষক। তাঁর নাক-মুখ ফেটে রক্ত ঝরে। অনাকাক্সিক্ষত এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ প্রদর্শন ও যানবাহন ভাংচুর করেছে। এ সময় লাঠিচার্জ করলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই পুলিশ ও ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুদিনের জন্য স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে পুলিশ ঐ শিক্ষার্থীর বাবা পলাশ পিরিচকে গ্রেফতার করেছে। হারবাইদ স্কুল এ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মারফত আলী দেওয়ান ও স্থানীয়রা জানান, পরীক্ষায় খারাপ ফল এবং ক্লাসে দুষ্টুমি করায় সোমবার সকালে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র পল্ফ ড্যানিয়েল পিরিচকে চড় দিয়ে শাসন করেন ইংরেজীর সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু বকর সিদ্দিক। ক্লাসের পর স্কুল থেকে বেরিয়ে পল্ফ ঘটনাটি তার বাবাকে জানায়। ছাত্রের বাবা পলাশ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ দেয়। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে পলাশ চলে যায়। পথে ওই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয় পলাশের। এ সময় পলাশ ওই শিক্ষকের পথরোধ করে এবং ছেলেকে কেন মেরেছে তার কৈফিয়ত চায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিতন্ডার একপর্যায়ে পলাশ শিক্ষকের নাকে মুখে কিল-ঘুষি মারে। এতে শিক্ষক রক্তাক্ত জখম হন। এ খবর পেয়ে আহত শিক্ষকের সহকর্মী এবং ছাত্ররা এগিয়ে গেলে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন পলাশ। পরে শিক্ষক আবু বকরকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সকালে জয়দেবপুর থানায় প্রধান শিক্ষক সাধারণ ডায়েরি করেন। এদিকে, শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ শুরু করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়ক অবরোধ করে এবং কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় উভয়দিকে যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে পূবাইল ফাঁড়ির এসআই মোঃ মোবারক হোসেনসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
×