ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নরসিংদীতে গণধর্ষণ, গাজীপুরে নারী শ্রমিক হত্যা ॥ আট জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ২

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৪ আগস্ট ২০১৬

নরসিংদীতে গণধর্ষণ, গাজীপুরে নারী শ্রমিক হত্যা ॥ আট জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ২

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নরসিংদীর পলাশে এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফির মামলায় ৬ আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট আদালত। এদিকে গাজীপুরে অপর এক গার্মেন্টস কর্মীকে হত্যার দায়ে দুই আসামির ফাঁসি এবং দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে স্থানীয় আদালত। মঙ্গলবার দুটি মামলার রায় হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার পাঠানো। জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নরসিংদীর বিচারক (জেলা জজ) শামীম আহাম্মদ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে উক্ত আদেশ দেন। মামলায় দ-প্রাপ্তরা হলো পলাশ উপজেলার বাগপাড়ার মৃত কুদ্দুছ আলীর পুত্র আশিকুর রহমান (৩৫), তাজুল ইসলামের পুত্র ইলিয়াছ (২১), সিরাজ সেখের পুত্র রুমিন (২০), হানিফার পুত্র রবিন (২০), মন্টু মিয়ার পুত্র ইব্রাহিম (২২) ও ছালাম মিয়ার পুত্র আবদুর রহমান (২৪)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী ০৩) এর ৯ (৩)/৩০ ধারা তৎসহ পর্নোগ্রাফি আইন, ২০১২ এর ৮ ধারার অপরাধের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদ-ে দ-িত করাসহ প্রত্যেককে আলাদাভাবে ১ লাখ টাকা করে অর্থদ-ে দ-িত করে। প্রাণ আরএফএল কোম্পানির শ্রমিক হাছিনা আক্তার (২০) ২০১৩ সালের ২৩ মে কর্মস্থল থেকে কোম্পানির নিজস্ব মেসে যাওয়ার পথে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে তা ভিডিও ধারণ করে। আধঘণ্টা পর ধর্ষণকারীরা তাকে ছেড়ে দেয়। পরদিন ধর্ষিতা কোম্পানির সিকিউরিটি সাকিলাকে নিয়ে প্রাণ আরএফএল কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক এএসএম সাদেকুল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে তিনি বাদী হয়ে পলাশ থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গাজীপুর ॥ এক নারী গার্মেন্টস কর্মীকে হত্যার দায়ে দু’জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- এবং অপর দু’জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছে জেল জজ আদালত। একই সঙ্গে রায়ে দ-প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তদের জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাস করে সশ্রম কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ একেএম এনামুল হক মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলো- মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে মোঃ কালাম (৩২) ও হাসেন আলী ডাক্তারের ছেলে ইকবাল হোসেন (২৪) এবং যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলো আব্দুল ছফুর উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফ (২৭) ও মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ মোখলেছ (২১)। তাদের সবার বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী কাদিরা পাড়া এলাকায়। পিপি এ্যাডভেকেট মোঃ হারিছ উদ্দিন আহমদ জানান, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মারিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে রূপালী খাতুন (২৫) গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করত। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কালাম, লতিফ ও মোখলেছকে সঙ্গে নিয়ে ইকবাল হোসেন গত ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় রূপালী খাতুনকে শ্রীপুরের গিলাশ^র এলাকার মান্নানের খামারের পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা রূপালীর বাবার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। টাকা না পেয়ে তারা রূপালীকে গলা টিপে হত্যা করে। পরে নিহতের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ওই খামারের সীমানা পিলারের সঙ্গে বেঁধে লাশটিকে বসিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
×