ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আট বিভাগীয় সদরে একই নক্সায় ভবন নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৪ আগস্ট ২০১৬

আট বিভাগীয় সদরে একই নক্সায় ভবন নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের আট বিভাগীয় সদর দফতরের সরকারী ভবনগুলো একই ধরনের নক্সায় নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জায়গা স্বল্পতা, চাহিদা ও অবস্থান বিবেচনায় নিয়েও বিভাগীয় সদর দফতরগুলোর ভবন কাঠামো ও বিন্যাসের মধ্যে যেন মিল থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। ভবনগুলোর পাশে জলাধারও থাকতে হবে। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ের ‘রংপুর বিভাগীয় সদর দফতর নির্মাণ’ প্রকল্পে অনুমোদন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় মোট পাঁচটি প্রকল্পে অনুমোদন দেয়া হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, অনুমোদিত পাঁচ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে দেয়া হবে ৯৭৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। মন্ত্রী বলেন, দেশের সবগুলো বিভাগীয় অফিস যেন একই রকমভাবে নির্মাণ করা হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। ১০ তলাবিশিষ্ট রংপুর বিভাগীয় অফিসের অডিটরিয়ামটি ১০ তলায় করার প্রস্তাব ছিল। প্রধানমন্ত্রী এটি নিচতলায় করার নির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ভবন থেকে বের হওয়া সহজ হয়। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ৩০০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজ শুরু হবে। এ সংক্রান্ত ‘ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে। সভা সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্প অনুমোদনের সময় পরামর্শক নিয়োগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রয়োজন না থাকলে অহেতুক একাধিক পরামর্শক নিয়োগ করে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নেই। বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের প্রাথমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ ও প্রকল্প এলাকার ৫০টি পরিবারের পুনর্বাসন করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮৩ কোটি টাকা। আর মূল প্রকল্প বাস্তবায়নে নেয়া হবে আরেকটি পৃথক প্রকল্প। বিদ্যুত বিভাগের অধীন ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনের কাজ শেষ করবে ইজিসিবি। এরপর শুরু হবে মূল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। ‘পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জেলা পরিষদের পুকুর, দীঘি, জলাশয়সমূহ পুনঃখনন সংস্কার’ শীর্ষক প্রকল্পটিও অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পের আওতায় দেশের ৪২ জেলা পরিষদে ৮০৯টি পুকুর খনন করা হবে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৩৭৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। পুরোটাই মেটানো হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। অনুমোদন পেয়েছে নারায়ণগঞ্জের ‘রূপগঞ্জ জলসিঁড়ি আবাসন সংযোগকারী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১০২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া ঢাকা সেনানিবাসে ডাইরেক্টর জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর জন্য আনুষঙ্গিক কাজসহ অফিসার্স মেস কমপ্লেক্স ও বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পটিও অনুমোদন পেয়েছে। ১৪ তলা ভিত্তিবিশিষ্ট সাততলা কমপ্লেক্সের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫১ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।
×