ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অভিবাসন সমস্যার ন্যায়সঙ্গত সমাধান চান ট্রাম্প

নির্বিচারে বহিষ্কার নয়

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৪ আগস্ট ২০১৬

নির্বিচারে বহিষ্কার নয়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ কাগজপত্রহীন অভিবাসী ও অবৈধ বিদেশীকে আমেরিকাতে থাকতে দিতে সম্মত বলে আভাসের পর তারা এখন আশায় আশায় দিন গুনছে। ট্রাম্প তাদের নির্বিচারে বহিষ্কার করা এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছেন বলে সম্প্রতি ইঙ্গিত মেলে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ট্রাম্প তার অবস্থানে কোন মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি বলে সোমবার জোর দিয়ে উল্লেখ করেন। তিনি গত সপ্তাহান্তে হিসপ্যানিক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠককালে তার অবস্থান থেকে সরে আসেন বলে প্রকাশিত খবরের সত্যতা অস্বীকার করলেও সম্প্রতি তিনি অস্বস্তিকর ও গুরুতর ইস্যু অভিবাসন সমস্যার এক “ন্যায়সঙ্গত” সমাধানের কথা বলেন। ইস্যুটি প্রধানত আমেরিকার এক বিরাট ল্যাটিনো জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত যারা যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এসেছিল। কিন্তু এটি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখ লাখ লোক সম্পর্কিতও বটে। তারা হয় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে, নয়ত বৈধভাবে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রে ‘মর্যাদাহীন’ অবস্থায় রয়েছে। ট্রাম্প সোমবার এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে বলেন, আমাদের অবৈধ অভিবাসীদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমাদের খুবই দৃঢ় হতে হবে। যখন লোকজন অবৈধভাবে আসছে তখন আমাদের খুবই কঠোর হতে হবে। আমরা এমন অনেক মানুষ দেখছি যারা আইনগত পথে আসতে চান। আর আমরা একটা সমাধান খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় হিসপ্যানিক সম্প্রদায়ের অনেকের সঙ্গে কাজ করছি। এর আগে ট্রাম্পের প্রচার-শিবির আভাস দেয় যে, তিনি এখন আরও আপোসমনা হয়েছেন, কারণ তার কট্টর অবস্থান মধ্যপন্থী রিপাবলিকানদের তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে এবং এর জন্য নির্বাচনে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। উপস্থাপক ‘তা হলে আপনি কি বোল পাল্টাচ্ছেন না’? ট্রাম্প বলেন, না আমি বোল পাল্টাচ্ছি না। আমরা আসলেই ন্যায়সঙ্গত কিন্তু দৃঢ় এমন এক সমাধানে পৌঁছতে চাই, অর্থাৎ একে খুবই কঠোর হতে হবে। কিন্তু আমরা ন্যায়সঙ্গত কোন কিছু পেতে চাই। অনেক রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ট্রাম্পকে অভিবাসন প্রশ্নে তার অবস্থান নমনীয় করতে তার ওপর চাপ দিয়ে এসেছেন। কারণ তাদের নির্বাচনী ভাগ্যও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে জনমত জরিপে ঝুঁকির মুখে রয়েছে এবং তাদের জয়পরাজয়, ন্যাটিনো ভোটের ওপর নির্ভর করছে। ট্রাম্প নিজেও তার কঠোর অবস্থানের কারণে ফ্লে¬ারিডা ও কলোরাডোর মতো অঙ্গরাজ্যগুলো হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে তার মনোভাব নরম করায় তার স্বগোত্রীয় শ্বেতাঙ্গ ভোটাররা ক্ষুব্ধ হবেন। তারা আমেরিকার অনেক অমঙ্গলের জন্য বৈধ ও অবৈধ উভয় শ্রেণীর অভিবাসীদের দোষারোপ করে থাকেন। ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে খুবই কঠোর নীতি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে তার প্রচার অভিযান শুরু করেন। তিনি মেক্সিকোর অভিবাসীদের “ধর্ষক” ও “অপরাধী” বলে বর্ণনা করেন। তিনি পরে তাদের প্রত্যেককে বহিষ্কার করা এবং মেক্সিকো সীমান্তে একটি দেয়াল নির্মাণ এবং সেজন্য ব্যয়িত অর্থ পরিশোধে মক্সিকোকে বাধ্য করার প্রতিশ্রুতি দেন।
×