ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চামড়ার দাম নির্ধারণ করতে চান না ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৪ আগস্ট ২০১৬

চামড়ার দাম নির্ধারণ করতে চান না ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণে আগ্রহী নন দেশের চামড়া ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম কম, বিশ্ববাজারে ইউরোর দরপতনসহ বিভিন্ন কারণে সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে চামড়া শিল্প। তাই চামড়ার দাম নির্ধারণ হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর কোরবানি ঈদের আগে চামড়া ব্যবসায়ীদের গড়িমসির পরও কোরবানি পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। ফলে ট্যানারি মালিক এবং চামড়ার আড়তদার সংগঠনগুলো কোরবানির আগে চামড়ার দাম নির্ধারণে বাধ্য হয়। বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার লেদারগুডস এ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টারস এ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ), বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) ও বাংলাদেশ হাইড এ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট এ্যাসোসিয়েশন বৈঠকে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হয়। সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে চামড়ার দাম প্রতি ক্ষেত্রে ৩০-৪০ শতাংশ কমাতে হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। কোরবানি হওয়া গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়া ঢাকায় ৪৫-৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অন্যদিকে মহিষের চামড়া ৩৫ টাকা, খাসির চামড়া ২০-২৫ টাকা এবং ছাগলের চামড়ার দাম ১৫-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার চামড়ার দাম নির্ধারণ করতে হলে এর দাম আরও কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ বলেন, আমরা কখনই চামড়ার দাম নির্ধারণের পক্ষে নই। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঈদ-উল-আযহার আগেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। চামড়া শিল্পের ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম কমা, বিশ্ববাজারে ইউরোর দরপতন, অবিক্রীত পুরনো চামড়া ট্যানারিতে মজুদ, ট্যানারি স্থানান্তরে সরকারী চাপ এবং সর্বোপরি গুলশান হামলায় বিদেশী ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। ফলে এই মুহূর্তে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়া ঠিক হবে না। বাজারকে তার গতিতে চলতে দেয়া উচিত। বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, সম্প্রতি রফতানি অনেক কমে গেছে। ক্রেতারাও বেশি দাম দিতে চাচ্ছেন না। তাই এবার বাধ্য হয়েই কম দামে চামড়া কিনতে হবে। এ অবস্থায় দাম নির্ধারণ করলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
×