ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নৌযান ধর্মঘটে যাত্রীদের ভোগান্তি

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২৩ আগস্ট ২০১৬

নৌযান ধর্মঘটে যাত্রীদের ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের শ্রমিকদের ১৫ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বরিশাল নদী বন্দর পল্টুন এলাকায় চলছে ধর্মঘট। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে শ্রমিকদের বাঁধার মুখে অভ্যন্তরীণ রুটের কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ফলে যাত্রীরা যেমন পড়েছেন চরম দূর্ভোগে, তেমনি বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের নৌ-রুটের যোগাযোগ। এদিকে ধর্মঘটের পক্ষে মিছিল ও সমাবেশ অব্যহত রয়েছে। জেলা নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পে-স্কেল ঘোষণায় দ্রব্যমূল্যের উধর্বগতির কারনে নৌযান শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘদিন থেকে তারা আন্দোলন করে আসছেন। এ বিষয়ে গত জুলাই মাসে শ্রমিক, মালিক ও নৌ এবং শ্রম মন্ত্রণালয় সমবেত এক বৈঠক হয়। এসময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান শ্রমিকদের নূন্যতম ৯ হাজার টাকা বেতন এবং মাস্টার ও সুকানীদের জন্য বেতন স্কেল দেয়ার কথা ঘোষণা করেন। অথচ ১৬ জুলাই নৌযান মালিক পক্ষ এই বেতন কাঠামোর বিপরীতে উচ্চ আদালতে রীট করে স্থগিত আদেশ আনলে তাদের দাবী বাস্তবায়নে সংকটের সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের কর্ম-বিরতির ডাক দিয়েছেন। এদিকে মঙ্গলবার বরিশাল নদী বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের জন্য কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। নৌযান শ্রমিকদের কর্ম-বিরতির কারনে অনেক লঞ্চ যাত্রী গন্তব্যে যেতে পাড়ছেন না। ফলে অভ্যন্তরীণ রুট পাতারহাট, হিজলা, কালিগঞ্জ ও ভোলা রুটের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। শ্রমিকরা তাদের দাবী আদায়ের লক্ষে টার্মিনাল এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ অব্যহত রেখেছে। বেলা ১১টার দিকে বরিশাল নদী বন্দরে এমভি ফারহান-৮ লঞ্চ ভিড়তে চাইলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের তোপের মুখে পড়ে। এসময় পল্টুন এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে বাড়তি নৌ পুলিশ মোতায়েন করে শ্রমিকদের নিবৃত্ত করা হয়। জেলা নৌযান শ্রমিক ফেডারেশেনের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক একিন আলী মাষ্টার বলেন, তাদের দাবী না মানা পর্যন্ত এবারের কর্ম-বিরতি অব্যাহত থাকবে। তবে তিনি আশা করেন, লঞ্চ মালিকরা তাদের দাবী মেনে নিবেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, শ্রমিকদের অযৌক্তিক দাবী আর বাড়তি বেতন দিয়ে আমাদের পক্ষে লঞ্চ চালানো সম্ভব হবেনা। একারনে বর্ধিত বেতনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়েছে।
×