ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিসিতে মাহাদি কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা মালির জঙ্গী নেতার

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ২৩ আগস্ট ২০১৬

আইসিসিতে মাহাদি কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা মালির জঙ্গী  নেতার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ এবার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইল মালির এক ইসলামী জঙ্গী। আনসার দাইন নামে আফ্রিকার জঙ্গী সংগঠনটির সাবেক সদস্য আহমেদ আল ফাকি আল মাহাদিকে সোমবার হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিসি) তোলা হলে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান তিনি। সাবেক এ জঙ্গী নেতার বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মালির ঐতিহাসিক টিমবুকটু শহরের প্রাচীন ঐতিহ্য ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার আদালতে দাঁড়িয়ে কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করেন মাহাদি। পাশাপাশি কোন মুসলিমকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। আর এ ধরনের কাজ যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন ৪০ বছর বয়সী এই জঙ্গী। খবর বিবিসি, এএফপি ও আলজাজিরা অনলাইনের। ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংসের দায়ে এই প্রথম কোন জঙ্গীকে আন্তর্জাতিক আদালতে তোলা হলো। ২০১২ সালে এক মাসের বেশি সময় মালির টিমবুকটু শহরটি জঙ্গীদের কব্জায় ছিল। এ সময় শহরটির প্রাচীন নানা স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। এসব কাজের নেতৃত্ব দেন মাহাদি। আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, ধর্মীয় নেতা মাহাদি সরাসরি এসব ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংসে কাজ করেছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনাগুলোর মধ্যে কয়েকটি মসজিদও ছিল। আদালতে দোষ স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি সত্যিই দুঃখিত ও অনুতপ্ত। আমি এসব কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য ক্ষমা চাইছি। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি যে কাজ করেছি আপনারা এসব থেকে দূরে থাকুন। এসব কাজ মানবজাতির জন্য ভাল কিছু বয়ে আনতে পারে না। এ কাজের জন্য সাবেক এই জঙ্গীর অন্তত ৩০ বছর সাজা হতে পারে। মাহাদির পর আরও ৯ সাবেক জঙ্গী আদালতে একই বিষয়ে জবানবন্দী দেন। আইসিসিতে এ মামলার বিচারকে ‘মাইল ফলক’ বলা হচ্ছে। কারণ, এই প্রথম সাংস্কৃতিক স্থাপনা ধ্বংসের মামলার বিচার করছে হেগভিত্তিক এই অপরাধ আদালত। আর এই প্রথম কোন সন্দেহভাজন ইসলামপন্থী জঙ্গী আইসিসির কাঠগড়ায় দাঁড়াল এবং প্রথমবার কোন জঙ্গীনেতা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করল। ১৯৮৮ সালে এসব স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো।
×