স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে প্রতিদিন যাতায়াতকারী লাখ লাখ পথচারী নারী-পুরুষের সুবিধার্থে নারীবান্ধব ও পরিচ্ছন্ন আরও নতুন চারটি পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার তৈরি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। নগরবাসীকে পরিকল্পিত স্যানিটেশন সমাধান উপহার দিতেই এসব গণশৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন এসব টয়লেট নারী-পুরুষের জন্য আলাদা চেম্বার রয়েছে। এছাড়া নারীদের এসব টয়লেট ব্যবহারের সুবিধার্থে আলাদা নারী কেয়ারটেকারও থাকবে। রয়েছে লকার, হ্যান্ড ওয়াশিং, শাওয়ার এবং বিশুদ্ধ খাবার পানির সুবিধা। এগুলোতে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত এবং সিসিটিভি ক্যামেরাসহ পেশাদার পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং মহিলা কেয়ারটেকার রয়েছে। চারটি টয়লেটের মধ্যে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে তিনটি ও পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে একটি টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে এসব গণশৌচাগার উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাঈদ খোকন জানান, ঢাকা দক্ষিণে ৪৭ গণশৌচাগার নির্মাণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। ১৭ গণশৌচাগার সংস্কার হয়েছে। এ সময় মেয়র জানান, আগামী কোরবানির ঈদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সাঈদ খোকন বলেন, আমরা নগরবাসীকে একটি পরিকল্পিত স্যানিটেশন সমাধান উপহার দিতে চাই। বিশেষত পথচারী এবং নারীদের জন্য জ্যামের কারণে যাদের রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় তাদের জন্যই এই ব্যবস্থা করা হলো। মেয়র বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে আধুনিক এলইডি লাইট স্থাপন হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসব গণশৌচাগারে শৌচকর্ম করার জন্য ৫ টাকা দিতে হবে। এর বাইরে কোন ব্যক্তি ইচ্ছে করলেই গোসল করতে পারবেন। এজন্য রয়েছে শাওয়ারের ব্যবস্থা। গোসলের জন্য প্রতিজনকে ১০ টাকা দিতে হবে। আধুনিক এসব গণশৌচাগারে পিপাসার্ত ব্যক্তির জন্য খাবার পানির ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে এক গ্লাস নিরাপদ পানির জন্য এক টাকা দিতে হবে। টয়লেট ব্যবহার বা গোসলের জন্য কোন ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ মালামাল রাখতে চাইলে রয়েছে নিরাপদ লকারের ব্যবস্থা। লকার সুবিধা নিতে চাইলে দিতে হবে ৫ টাকা। ব্যবহারকারীদের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করতে সার্বক্ষণিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।