ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাই জাম্পে ইতিহাস ‘বুড়ো’ বেইটিয়ার

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৩ আগস্ট ২০১৬

হাই জাম্পে ইতিহাস ‘বুড়ো’ বেইটিয়ার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বয়স ৩৭ বছর। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ব্যর্থ হওয়ার পর রুথ বেইটিয়া ভেবে নিয়েছিলেন আর বুঝি হবে না স্বপ্নপূরণ। কিন্তু না, চার বছর পর ব্রাজিলের রিওতে এসে আর ব্যর্থ হতে হয়নি স্পেনের এই প্রমীলা হাই জাম্প তারকাকে। এবার ঠিকই স্বর্ণ জিতেছেন। আর তাতেই রেকর্ড বুকে জায়গা হয়ে গেছে বেইটিয়ার। বাংলাদেশ সময় রবিবার সকালে মেয়েদের হাই জাম্পে স্বর্ণপদক জয় করেন বেইটিয়া। অলিম্পিকের এ্যাথলেটিক্সে মেয়েদের কোন ইভেন্টে এটাই স্পেনের প্রথম স্বর্ণপদক। শুধু তাই নয়, অলিম্পিক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে এই ইভেন্টে সেরা হওয়ারও রেকর্ড এখন স্প্যানিশ মেয়ের। বেইটিয়ার মতোই সর্বোচ্চ ১.৯৭ মিটারের উচ্চতা টপকান বুলগেরিয়ার মিরেলা ডেমিরেভা, ক্রোয়েশিয়ার ব্লানকা ভøাসিচ ও যুক্তরাষ্ট্রের শনটি লৌ। তবে সবচেয়ে কম প্রচেষ্টায় এই উচ্চতা অতিক্রম করে স্বর্ণ জিতেছেন বেইটিয়া। একই হিসেবে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ জিতেছেন যথাক্রমে ডেমিরেভা ও ভøাসিচ। বেইটিয়া এথেন্স অলিম্পিকে ১৬তম, বেজিংয়ে সপ্তম ও লন্ডনে চতুর্থ হয়েছিলেন। তবে বয়সকে জয় করে ঠিকই এবার সর্বোচ্চ সাফল্য পেলেন এই এ্যাথলেট। এত বেশি বয়সেও স্বর্ণ জিততে পেরে উচ্ছ্বসিত বেইটিয়া। যেন আকাশে উড়ছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ইকার ক্যাসিয়াসদের দেশের কন্যা। বেইটিয়া বলেন, আমি খুব খুশি। কখনও ভাবিনি আমি লন্ডনের পর আবার অলিম্পিকে খেলব। আমার স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি জানি আমার বয়স কত। আমি জানি সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ জিতেছি অলিম্পিকে। অবশ্যই এই সাফল্যে আমি গর্বিত। এজন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ আমি। অনেকেই ভাবতে পারেন, হয়ত শীঘ্রই খেলা ছেড়ে দিতে পারেন বেইটিয়া। কিন্তু এমন ভাবনা নাকি তার একদমই নেই। এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি এখনও খেলা উপভোগ করছি। বয়স নিয়ে ভাবছি না। অথচ লন্ডন অলিম্পিকের পর আর খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। সে সময় অসুস্থতার কারণে ডাক্তার খেলতে নিষেধ করেছিলেন। সেই তিক্ত স্মৃতি স্মরণ করে বেইটিয়া বলেন, শারীরিক অবস্থার কারণে আমাকে খেলার বাইরে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি বন্ধ করিনি। তবে ভাবতে পারিনি আবার অলিম্পিক খেলতে পারব। সেটা পেরেছি এবং ইতিহাস গড়তে পেরে আমি খুব খুশি। রৌপ্যপদক জিতেও বেজায় খুশি ডেমিরেভা। ২৬ বছর বয়সী বুলেগিরয়ান কন্যা বলেন, আমি খুব খুব খুশি। আমার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়ার পরই কিছু একটা করতে চেয়েছিলাম। রুপা জিতে সেটা করতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আশা করি ভবিষ্যতে আরও ভাল করতে পারব।
×