ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার

বাগেরহাটের ৪ আসামির বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৩ আগস্ট ২০১৬

বাগেরহাটের ৪ আসামির বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাগেরহাটের খান আকরাম হোসেনসহ ৪ আসামির বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। অধিকতর তদন্তের জন্য প্রসিকিউটর মুখলেছুর রহমান বাদল তিন মাসের সময়ের প্রার্থনা করলে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে শেরপুরের কলেজশিক্ষক এসএম আমিনুজ্জামান ফারুকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর সোমবার তাকে গ্রেফতার করেছে শেরপুরের পুলিশ। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। চার আসামির মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেফতারকৃত উকিল মোল্লার বিরুদ্ধে শ্যোন এ্যারেস্টের আদেশ দিয়েছে। বাকি তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলাটির শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর মুখলেছুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। এই মামলার চার আসামি হলেন- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী গ্রামের মৃত মোক্তার আলী খানের ছেলে খান আকরাম হোসেন (৬০), কচুয়া উপজেলার যশোরদী গ্রামের মৃত গফুর আলী মোল্লার ছেলে ইদ্রিস আলী মোল্লা (৬৪) এবং একই উপজেলার উদনখালি গ্রামের মৃত সফদার মোল্লার ছেলে মোঃ মকবুল মোল্লা (৭৯)। এছাড়া এই মামলায় গ্রেফতারকৃত আরেক আসামি কচুয়া উপজেলার চাপড়ি গ্রামের মৃত শেখ মোসলেম উদ্দিনের ছেলে শেখ মোহম্মদ উকিল মোল্লা (৮২)। গতকাল তাকে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক করার আদেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল ১২ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করার পর বাগেরহাট ও খুলনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের কচুয়া ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তে এসব আসামির বিরুদ্ধে ওই সময়ে সংঘটিত অপরাধের সত্যতা পায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল। শেরপুরে গ্রেফতার ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেরপুরে এক কলেজশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার এসএম আমিনুজ্জামান ফারুক নকলা পৌরসভার ইসিবপুর মহল্লার মৃত শামসুজ্জামানের ছেলে। তিনি নকলার জাল মামুদ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক, যিনি এখন সাময়িক বরখাস্ত আছেন। সোমবার দুপুরে নকলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ‘সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের জারি করা পরোয়ানার পর আসামি এসএম আমিনুজ্জামান ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
×