অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত ছয় বছরে (২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২১ আগস্ট ২০১৬) চারটি কোম্পানি শেয়ারবাজারে এনেছে ইস্যু ম্যানেজার এএএ ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। এর মধ্যে ২টি বা ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার এরই মধ্যে ইস্যু দরের নিচে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে ২টি বা ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) শেয়ারবাজারে আসার সময় থেকে কমে গেছে।
এএএ ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের বাজারে আনা কোম্পানিগুলো হলোÑ জাহিন টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সালভো কেমিক্যাল, জিপিএইচ ইস্পাত ও শাহজিবাজার পাওয়ার। জাহিন টেক্স কোম্পানিটি বাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল ২০১১ সালে। কোম্পানিটি ২৫ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করে। রবিবার ডিএসইতে কোম্পানিটির দর দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা। একই বছরে সালভো কেমিক্যাল নামের আরও একটি কোম্পানিকে ২৬ কোটি টাকা উত্তোলন করে দেয় ইস্যু মানেজারটি। অভিহিত মূল্যে বাজারে আসা কোম্পানিটির দর এখন ১১.৬০ টাকা।
২০১২ সালে একইভাবে জিপিএইচ ইস্পাত নামের প্রকৌশল খাতের কোম্পানির ৩০ টাকা দরে ৬০ কোটি টাকা তুলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এখন কোম্পানিটির দর দাঁড়িয়েছে ২৮.২০ টাকা। এছাড়া শাহজিবাজার নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৪ সালে ২৫ টাকা দরে বাজারে আসে। এখন তার দর ১৫৯ টাকা। দেখা গেছে, চার কোম্পানির মধ্যে জাহিন টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারবাজারে আসার সময় ৬ মাসে ইপিএস করে ৩.০৫ টাকা।
তবে ২০১৫ সালের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২.৮৭ টাকা বা ৯৪.১০ শতাংশ কমে হয়েছে ০.১৮ টাকা। আর জিপিএইচ ইস্পাতের ৬ মাসের ১.৪৯ টাকার ইপিএস ০.১৩ টাকা কমে ২০১৫ সালের ৬ মাসে (মে-অক্টোবর) হয়েছে ১.৩৬ টাকা।
অপরদিকে সালভো কেমিক্যালের ০.৯১ টাকার ইপিএস বেড়ে ২০১৪ সালে হয়েছে ১.১৩ টাকা ও ২.৩২ টাকার শাহজিবাজারের ইপিএস বেড়ে ২০১৫ সালে হয়েছে ৭.২০ টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কোম্পানি প্রোফাইল থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে এএএ ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ এ হাফিজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।