ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পায়ুপথে কাঁচের বোতল জ্ঞান ফিরলেও মুখ খোলেনি জালাল, পরকীয়ার গুজব

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২২ আগস্ট ২০১৬

পায়ুপথে কাঁচের বোতল  জ্ঞান ফিরলেও মুখ  খোলেনি জালাল, পরকীয়ার  গুজব

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ অস্ত্রোপচারের দু’দিন পর রবিবার সকালে জ্ঞান ফিরেছে জালাল উদ্দিন পাটোয়ারীর। তিনি মুখ না খোলায় তার পেটের ভেতর থেকে উদ্ধার করা কাঁচের বোতল রহস্যের জটও খোলেনি। জালালের স্বজনরা কখনও জিনের কেরামতি, আবার কখনও বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে নিচে পড়ে পায়ুপথে বোতল ঢুকে যাওয়ার কথা বলায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। রবিবার দিনভর জালাল উদ্দিনের নিজ গ্রামের ইউপি সদস্যসহ অসংখ্য ব্যক্তির সঙ্গে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তারাও একেকজন একেক ধরনের তথ্য প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে জালালের নিজ এলাকায় নানা গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। শোনা যাচ্ছে, স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া চলছিল চার সন্তানের জনক জালাল উদ্দিন পাটোয়ারীর। ওই প্রেমিকার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন নানা কসমেটিক্সের সঙ্গে একটি সেন্টের বোতলও ক্রয় করেন। ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রেমিকাকে কসমেটিক্স ও সেন্টের বোতল দিতে গিয়ে প্রেমিকার স্বামীর হাতে ধরা পড়েন জালাল। এ সময় প্রেমিকার স্বামী ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে জালাল উদ্দিনের পায়ুপথে ওই বোতল জোর করে ঢুকিয়ে দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জালালের নিজ গ্রামের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এমন একটি গুজব এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে জালালের প্রেমিকা কিংবা তার স্বামীর নাম কেউ বলতে পারেননি। তারা বলেন, আসলে কোন্টা সত্য তা শুধু জালালই বলতে পারবেন। উল্লেখ্য, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জালাল (৪০) ভোলা জেলার লালমোহন থানার ফরাসগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মোনাজ উদ্দিন পাটোয়ারীর পুত্র। গত ১৭ আগস্ট রাতে পেটে প্রচ- ব্যথা নিয়ে নগরীর পেয়ারা রোডের হেল্থ কেয়ার নামের একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন জালাল উদ্দিন পাটোয়ারী। ক্লিনিকের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সেলিম জানান, রোগীর একটি এক্স-রের মাধ্যমে পেটের ভেতর বোতলসদৃশ বস্তু দেখতে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় পায়ুপথ দিয়ে বোতলটি বের করার জন্য রোগীর দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়। এ সময় চিকিৎসক রোগীর পেটের ভেতর কাঁচের বোতলের উপস্থিতি টের পান। বোতলটি পায়ুপথ দিয়ে বের করা সম্ভব না হওয়ায় রোগীকে শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু রোগীর স্বজনদের ইচ্ছায় দুই ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর পেট কেটে বোতলটি বের করা হয়। চিকিৎসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সেলিম বলেন, আমার চিকিৎসা জীবনে এত বড় বোতল পায়ুপথ দিয়ে পেটে ঢোকা কিংবা এমন কোন বিষয় নিয়ে অপারেশনের কথা আমি শুনিনি। তবে বোতলটি যে প্রচ- চাপ প্রয়োগ করে রোগীর পায়ুপথ দিয়ে ঢোকানো হয়েছে তা তিনি (ডাঃ সেলিম) নিশ্চিত হয়েছেন। এ ব্যাপারে লালমোহন থানায় সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে ওসি বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই এবং এ ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে থানায় কেউ আসেননি।
×