ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাবি থেকে ইমাম ও ১৩ শিবির আটক, দিনাজপুরে ১১ জামায়াতী জেলহাজতে

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২১ আগস্ট ২০১৬

রাবি থেকে ইমাম ও ১৩ শিবির আটক, দিনাজপুরে ১১ জামায়াতী জেলহাজতে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের ইমাম ও ১৩ শিবির ক্যাডারকে আটক করেছে। একই দিনে দিনাজপুরে নাশকতা মামলায় জামায়াত-শিবিরের ১১ ক্যাডারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও সংবাদদাতার পাঠানো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলে শনিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে মসজিদের ইমাম ও ১৩ শিবির ক্যাডারকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় মসজিদ থেকে শিবিরের রিপোর্ট বই, ক্যালেন্ডার, ডায়েরি ও লিফলেটসহ বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়। রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) আমির জাফর বলেন, আমরা জানতে পারি, পূর্বে নাশকতায় সংশ্লিষ্ট শিবির ক্যাডাররা হলে অবস্থান করছে। কয়েকদিনের মধ্যে তারা বৈঠকে বসবে বলেও খবর ছিল। পরে দুপুর তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় হলে অভিযান চালাই। এ সময় মসজিদের ভেতর থেকে জিহাদী বই, লিফলেট, ক্যালেন্ডার, ডায়েরিসহ বিভিন্ন জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়। বইগুলোর মধ্যে মওদুদীর লেখা ‘কাদিয়ানী সমস্যা’, ‘ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন’, ‘কোরআন হাদীদের আলোকে জিহাদ’ উল্লেখযোগ্য। পরে বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে ১৩ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। শিক্ষার্থীদের কক্ষ ও মোবাইল ফোন তল্লাশি করে শিবির বলে সন্দেহ হলে তাদের আটক করা হয়। এদিকে, এ ঘটনার পর রাবি শাখা ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, জামায়াতের জঙ্গী ছাত্র সংগঠন শিবির বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে তারা সংগঠিত হয়ে আরও বড় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। ছাত্রলীগ পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে মসজিদের ইমাম ও ১৩ শিবির ক্যাডারকে আটক করেছে। দিনাজপুর ॥ নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জেলার ১১ পলাতক জামায়াত-শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বীরগঞ্জ, খানসামা ও কাহারোল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা সকলেই ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ, বিস্ফোরণ ও জনমনে তা-ব সৃষ্টির অভিযোগে চার্জশীটভুক্ত পলাতক আসামি। পুলিশ বিকেলে তাদের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
×