ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে ট্রপিক্যাল নিটেক্স কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২১ আগস্ট ২০১৬

গাজীপুরে ট্রপিক্যাল নিটেক্স কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে কালিয়াকৈরের ট্রপিক্যাল নিটেক্স লিমিটেড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও আগুন নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের কর্মীরা। আগুনে ৫ তলা ওই কারখানা ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণ সুতা ও ফেব্রিক্সসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ারম্যান নাসির উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার অপূর্ব বল ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুত এলাকাস্থিত ম-ল গ্রুপের ট্রপিক্যাল নিটেক্স লিমিটেড কারখানার পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় সুতার গুদামে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন প্রায় ৫৪ হাজার বর্গফুট আয়তনের ওই গুদামে রাখা বিপুল পরিমাণ সুতা ও ফেব্রিক্সসহ বিভিন্ন মালামালে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতর, জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর, সাভারের ইপিজেড, টঙ্গী, কুর্মিটোলা, বারিধারা, মিরপুর ও তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের ১৯টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। আগুনের তাপ ও প্রচ- ধোয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেগ পেতে হয়। আগুনের প্রচ- তাপে এক পর্যায়ে ওই ভবনের তৃতীয় তলার ছাদ বিভিন্ন স্থানে ধসে পড়লে আগুন চতুর্থ তলায় ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুনে কারখানার ওই ভবনের চারপাশেই বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সকাল ১০টার দিকে আবারও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় সাড়ে ১৬ ঘণ্টা ধরে টানা চেষ্টা চালিয়েও বিকেল সোয়া ৫টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সব ক’টি ইউনিটের কর্মীরা কাজ করছে। আগুনে বিপুল পরিমাণ সুতা ও ফেব্রিক্সসহ কারখানার বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ারম্যান নাসির উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।
×