ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খুনীদের পুরস্কৃত না করলে খালেদাও স্বামী হারাতেন না॥ ও. কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২১ আগস্ট ২০১৬

খুনীদের পুরস্কৃত না করলে খালেদাও স্বামী হারাতেন না॥ ও. কাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যে বুলেট বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বজনহারা করেছে সেই বুলেটই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বামীহারা করেছে। রাজনীতিতে খুনের অপসংস্কৃতি, খুনীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, খুনীদের পুরস্কৃত করা না হলে খালেদা জিয়াকে স্বামীহারা হতে হতো না। রাজনীতিতে খুন, হত্যার ষড়যন্ত্র অব্যাহতভাবে চলত না। তাই রাজনীতিতে যারা খুনীদের পুরস্কৃত করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। যারা রাজনীতির মঞ্চের পেছনে থেকে ষড়যন্ত্র করে, খুনীদের আশ্রয়-প্রশয় দেয়, খুনীদের পুরস্কৃত করে, ইতিহাসের আদালতে তাঁদের বিচার হবেই। এছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত হয় না। বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তায় অবহেলাকারীদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়-এর সভাপতি ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। স্বাগত রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ আলী আসগর মোড়ল। স্মরণসভায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক ও বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ এস এম জাকারিয়া (স্বপন) স্বাচিপ-এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন। ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, সততা ও প্রতিশ্রুতিব্ধ হয়ে নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে অবমূল্যায়নের অনেক অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও তন্ন তন্ন করে খুঁজে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কোন সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পত্তি পাওয়া যায়নি। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা তাঁদের সন্তানদের যোগ্য ও মানুষের মতো মানুষ করেছেন। হাওয়া ভবন-খাওয়া ভবন করেননি। অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কাছ থেকে বাংলাদেশকে পুনরায় উদ্ধার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। আমাদের সকলের উচিত বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান তাঁর বক্তব্যে বিশেষ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকারী, খুনীদের মদদদাতা, পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান বলেন, শুধু মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা বললেই হবে না, ব্যক্তিগত স্বার্থ, লোভ-লালসার উর্ধে উঠে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে কর্মের মাধ্যমে এর প্রতিফলন ঘটিয়ে কর্মজীবনকে সার্থক করে তুলতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১, ১৯৭৫সহ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জড়িত সকল খুনীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
×