ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হওয়াশিংটন পোস্ট

গুগল ম্যাপস থেকে আরও কিছু পাওয়ার ৬ কৌশল

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ২০ আগস্ট ২০১৬

গুগল ম্যাপস থেকে আরও কিছু পাওয়ার ৬ কৌশল

মাল্টিস্টপ ট্রিপস ॥ ট্রিপ মানে সর্বদা ‘ক’ বিন্দু থেকে ‘খ’ বিন্দুতে যাওয়া নয়। অনেক সময় ‘গ’, ‘ঘ’, ‘ঙ’ এমনকি ‘চ’ বিন্দুতেও যেতে হতে পারে। সম্প্রতি গুগল এক নতুন ফিচার চালু করেছে, যার বদৌলতে একই সময় একাধিক গন্তব্যে যাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীরা ডাইরেকশন স্ক্রিনের অপশন মেনুতে গিয়ে এ সুযোগটি নিতে পারে। উপরের ডানদিকের কোনায় তিনটি ভার্টিকাল ডটে চাপ দিয়ে এবং ‘এ্যাড স্টপ’ বেছে নিয়ে সেখানে পৌঁছানো যাবে। মনে রাখতে হবে এই আপডেটটা এখনও আপনার চোখে নাও পড়তে পারে। ‘এক্সপ্লোর’ ব্যবহার ॥ গুগল ম্যাপসের ‘এক্সপ্লোর’ সেকশনটা খুঁজে বের করা বেশ সহজ। তবে শুধু দিক নির্ণয়ের কাজেই যাদের দৃষ্টি নিবন্ধ তাদের চোখ সম্ভবত এটা এড়িয়ে যায়। ফিচারটি সবিশেষ কাজে লাগে যদি কেউ ব্যবসার কাছে গমনরত থাকে কিংবা নতুন কোন স্থানে যায় এবং চটজলদি কিছু খেয়ে নেয়ার প্রয়োজন পড়ে এবং লক্ষ্যহীনভাবে ইতস্তত খুঁজে বেড়ানোর মতো সময় না থাকে। মূল সার্চ স্ক্রিন থেকে সার্চবারের বা হাতের দিকে তিনটি সমান্তরাল লাইনের উপর ক্লিক করতে হবে। যুক্তিযুক্তভাবে স্থানীয় কোন এলাকায় জুম করা হলে এক্সপ্লোর অংশটি দেখতে পাওয়া যাবে, যা আপনাকে খাওয়ার জন্য ভাল জায়গায়, সস্তায় খাওয়ার মতো জায়গায় কিংবা আশপাশের দশর্ণীয় কোন স্থানে নিয়ে যাবে। অফলাইন এলাকা ডাউনলোড করুন ॥ মনে করুন এমন এক জায়গায় যাচ্ছেন সেখানে সেল সার্ভিস মেলে না। সেক্ষেত্রে অফলাইনে ঢোকার জন্য গুগল ম্যাপসের একটা সেকশন ডাউনলোড করার সামর্থ্যরে সুযোগ নিন। সেটা করার জন্য সার্চ বারে ট্যাপ করে যতক্ষণ পর্যন্ত না ‘ডাউনলোড এ নিউ অফলাইন এরিয়া’ দেখা যায়, ততক্ষণ স্ক্রলডাউন করে চলুন। পালাক্রমে কোন নগরীর সন্ধান করতে পারেন এবং তারপর ডাউনলোড অপশনে হিট করতে পারেন। গুগল আপনাকে খুব বেশি বড় জায়গা ডাউনলোড করতে দেবে না। তবে আপনি ১ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত যেতে পারেন। আপনি ম্যাপের এ অফলাইন অংশের সঙ্গে ইন্টার এ্যাক্ট করে বিশ্বের সেই অংশের মধ্যেকার বিভিন্ন স্থানে দিক সন্ধান করতে পারেন। গুগল ম্যাপস আপনাকে জায়গার নাম বলে দেবে না। কিন্তু তারপরও পুরনো স্কুল ম্যাপের চেয়েও এটা কাজের হবে। মনে রাখবেন গুগল ম্যাপসের একটা অংশ ডাউনলোড করলে আপনার কোনের স্টোরেজের জায়গা খেয়ে ফেলবে। কিন্তু তারপরও এটা সুবিধাজনক। কাগজের ম্যাপ একস্থান থেকে অন্যস্থানে বয়ে নেয়া অতি সহজ নয়। বারবার ভাঁজ করা ও ভাঁজ খোলাও যায় না। সে তুলনায় আপনি সহজেই এই ম্যাপস ফোনে বয়ে নিতে পারেন। দিক শেয়ার করা ॥ কাউকে কোথাও যেতে হলে কিভাবে যেতে হয় জানিয়ে দিতে চান, আপনার কাক্সিক্ষত দিকটি জানা হয়ে গেলে তিন ডটের অপশন মেনুতে হিট করে ‘শেয়ার ডাইরেকশনস’ ট্যাপ করুন। তাহলে একটা লিংকের মাধ্যমে কাউকে ডাইরেকশন টেক্সট করার কিংবা ই-মেল করার সুযোগ পাবেন। এমনকি চাইলে টুইটার বা ফেসবুকেও তা শেয়ার করতে পারবেন। উন্নততর সার্ভিসের জন্য সাইন-ইন করা ॥ গুগল ম্যাপসের সঙ্গে সাইন-ইন করা থাকলে বেশকিছু কাজের বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। আপনার যদি সাইন-ইন করা থাকে এবং ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে থাকেন সে অবস্থায় থেকে আপনি আরও দ্রুত আপনার অতীত গন্তব্যগুলোর রেফারেন্স দিতে পারবেন। কাজেই গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণের ক্ষেত্রে যদি কোন রেস্তরাঁর নাম পেয়ে যান এবং পরবর্তী গ্রীষ্মে সেখানে যেতে চান, তাহলে সে কাজটা বেশ দ্রুত করতে পারবেন। সাইন-ইনের আরেক সুবিধা হলো আপনি আপনার গুগল কনট্যাক্টকে গুগল ম্যাপসের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন। তাহলে আপনার ঠিকানাপঞ্জি থেকে বন্ধুর বাড়ি খুঁজে বের করা সহজ হবে। আপনাকে অযথা বিড়ম্বনা বা ভাবনায় পড়তে হবে না। কোথায় ঢুকছেন সে সম্পর্কে আরও জানুন ॥ কিছু কিছু সেটিং আছে সেগুলো অধিকাংশ ব্যবহারকারী জানেন অথচ খুব একটা ব্যবহার করেন না। যেমন অপশন মেন্যুতে বিভিন্ন ফিল্টার ও ফিচার ব্যবহার করে যেখানে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ সানফ্রানসিসকোর মতো পাহাড়ী নগরীতে যদি আপনি হেঁটে বেড়ান তাহলে আপনার চারপাশের এলাকাটা দেখতে চাইতে পারেন। একটা কফিশপ দেখে মনে হতে পারে একটু দ্রুত পা চালিয়ে গেলেই তো ওখানে পৌঁছানো যাবে অথবা মাত্র কয়েক ব্লক দূরেই আছে ওটা। কিন্তু সেই ব্লকগুলো পাড়ি দিতে আপনাকে খাড়া পাহাড় পেরিয়ে যেতে হতে পারে। সেখানে পৌঁছানোর জন্য হয়রানের চূড়ান্ত হতে বা নাকাল হতে না চাইলে এ তথ্যটা জানা খুবই দরকার।
×