ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কিত গেঞ্জি পরায় ভাতা বন্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২০ আগস্ট ২০১৬

বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কিত গেঞ্জি পরায়  ভাতা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ভূমিহীন ইসমাইল খান সপরিবারে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে ওই মুক্তিযোদ্ধা এ হুমকি প্রদান করেন। সূত্রমতে, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত গেঞ্জি ও টুপি পরায় বিএনপি নেতা অপর দুই মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে তুমুল বিরোধ দেখা দেয় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল খানের। ওই বিরোধের জের ধরে বিএনপি নেতাদের রোষানলে পড়ে গত আট মাস ধরে বন্ধ রয়েছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা। এতে গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাকোকাঠী গ্রামের রোগাক্রান্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ভূমিহীন ইসমাইল খান পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ইসমাইল খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ৯নং সেক্টরে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পায়ে প্রচ- আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ভারতের হাসনাবাদে চিকিৎসা গ্রহণ করি। পরবর্তীতে কিছুটা সুস্থ হয়ে আমি ফের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। দেশ স্বাধীনের পর সরকারের মুক্তিবার্তা নং (লাল বই)-০৬০১১০০২৫৪, যুদ্ধাহত গেজেট নং-১৫০১, মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং-৩৪২৩, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং-১৩৫২৫ অর্ন্তভুক্ত হই। ফলে দীর্ঘদিন থেকে আমি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা পেয়ে সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে কোনমতে খেয়ে পরে জীবন বাঁচিয়েছি। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত গেঞ্জি ও টুপি পরি। গত বছরের (২০১৫ সালের) প্রথমার্ধে বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত গেঞ্জি ও টুপি পরিহিত অবস্থায় আমাকে দেখে অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ করেন সরিকল ইউনিয়নের শাহজিরা গ্রামের বিএনপির সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল খান ও তার সহযোগী বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার। একপর্যায়ে তারা আমাকে বিএনপিতে যোগদানের আহ্বান করায় তাদের সঙ্গে আমার তুমুল বাগ্বিত-া হয়। এর জের ধরে বিএনপি ও জামায়াতের দোসর মোজাম্মেল খান ও শাহজাহান হাওলাদার আমাকে ভুয়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আখ্যায়িত করে ওই বছরেই মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ফলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে গত ডিসেম্বর মাস থেকে আমার ভাতা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
×