ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্থগিত জলবিদ্যুত প্রকল্প ফের শুরুর আশ্বাস সুচির

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২০ আগস্ট ২০১৬

স্থগিত জলবিদ্যুত প্রকল্প ফের শুরুর আশ্বাস সুচির

মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচি বৃহস্পতিবার চীনের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন যে, তার নতুন সরকার মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে চীনা অর্থয়নে প্রস্তাবিত স্থগিত জলবিদ্যুত প্রকল্প আবারও শুরু করতে দু’দেশের জন্য উপযোগী সমাধানে পৌঁছতে চায়। এক উচ্চপদস্থ চীনা কূটনীতিবিদ একথা বলেছেন। খবর ইয়াহু নিউজের। ৩শ’ ৬০ কোটি ডলারের স্থগিত সাইতসোন জলবিদ্যুত প্রকল্পটির বিষয়ে সমাধানে পৌঁছা সুচির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চীনসংলগ্ন উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সঙ্গে আলোচনায় চীনের সহযোগিতার প্রয়োজন সুচির। মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ২০১১ সালে ইরাবতী নদীর অববাহিকায় বিদ্যুত প্রকল্পটি স্থগিত করে দিলে চীন ক্ষুব্ধ হয়। ব্যাপক পরিবেশগত আন্দোলনের পর প্রকল্পটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। প্রকল্পের প্রায় ৯ শতাংশ বিদ্যুত চীন ব্যবহার করবে বলে সিদ্ধান্ত ছিল। সুচিও ঐ সময় প্রকল্পটি স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বেজিংয়ে সুচি ও চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের মধ্যে এক বৈঠকের পর চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিউ ঝেনমিন সাংবাদিকদের বলেন, লি বলেছেন, চীনের প্রত্যাশাÑমিয়ানমার একটা যথাযথ সমাধান নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এগিয়ে আসবে। লিউ বলেন, আউং সান সুচি বলেছেন, মিয়ানমার সরকার সাইতসোন প্রকল্পের যথাযথ সমাধান খুঁজে বের করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এরই মধ্যে। সুচি এ কথাও বলেন, তিনি এমন একটা সমাধান চান যা দু’দেশের জ্বালানি প্রশাসনের সহযোগিতার মধ্য দিয়ে উভয় দেশের স্বার্থের উপযোগী। চীন প্রকল্পটির কাজ আবারও শুরু করার জন্য চাপ প্রদান করে এসেছে। প্রকল্পটির মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৯০ শতাংশ বিদ্যুত দেয়া হবে চীনকে। মিয়ানমার সরকারের এক কমিশন অন্যান্য প্রস্তাবিত জলবিদ্যুত প্রকল্পের মতো এ প্রকল্পটিও পর্যালোচনা করছে এবং এর রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার কথা ১১ নবেম্বর। সুচি সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্যে এ প্রকল্পটির উল্লেখ করেননি। তিনি আশা করছেন, তার সফর দু’দেশের সম্পর্ক আরও সুসংহত ও উন্নয়নে সহায়ক হবে। দু’দেশ তাদের সীমান্তের কাছে একটি সামরিক দিক দিয়ে কৌশলগত সেতু নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরও করে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মিয়ানমারের দুটি বড় শহর ইয়াংগুন ও মান্দালরে দুটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্যও সম্মতি প্রকাশ করেছে চীন। সুচির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি নবেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর এপ্রিলে নতুন সরকার গঠন করা হয় এবং সরকারের কার্যত নেতা হিসেবে সুচির এটিই প্রথম বড় ধরনের কূটনৈতিক উদ্যোগ।
×