ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২ লাখ ৩৫ হাজার এ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২০ আগস্ট ২০১৬

২ লাখ ৩৫ হাজার এ্যাকাউন্ট  বন্ধ করল টুইটার

সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে এ রকম সন্দেহভাজন ২ লাখ ৩৫ হাজারের ওপর এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি জানিয়েছে, সন্ত্রাসকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একসঙ্গে অনেকের কাছে বার্তা পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে অনেকে টুইটার ব্যবহার করছে। এ কারণে এ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খবর এএফপির। একদিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অন্যদিকে জঙ্গীরা যেন একে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে নিজস্ব মত প্রচার ও তাতে লোক ভেড়াতে না পারে; এই দুইয়ের মধ্যে সমম্বয় করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে টুইটার সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট চাপের মুখে রয়েছে। সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত বছর মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত জঙ্গী সম্পৃক্ততা সন্দেহে ৩ লাখ ৬০ হাজার এ্যাকাউন্ট বন্ধ বা স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার এ্যাকাউন্ট থেকে সহিংসতা সম্পর্কিত আইটেমগুলো অপসারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতার নীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এ বছর অনেক বেশি সংখ্যক টুইটার এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। টুইটার জানিয়েছে, কোন ব্যবহারকারীর এ্যাকাউন্টে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত উপাদান পাওয়া গেলে খুব দ্রুতই তা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর ফলে টুইটার ব্যবহারকারীর মধ্যে সন্ত্রাসী বা তাদের সমর্থকের সংখ্যা অনেক কমেছে। টুইটার সন্ত্রাসীদের বার্তা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, বিশেষ করে আইএসের মতো জঙ্গী গ্রুপগুলো সেটি ব্যবহার করছে; এ রকম একটি অভিযোগ গত সপ্তাহে মার্কিন আদালত খারিজ করে দিয়েছে। সানফ্রান্সিসকো ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক উইলিয়াম ওরিক মামলা খারিজ হওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, আইনের আওতায় থেকে যখন একটি কোম্পানি মানুষের বার্তা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে সেবা প্রদান করে তখন কারও বার্তার বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটিকে দায়ী করা যয় না। যুক্তরাষ্ট্রে বলবৎ ‘যোগাযোগ শোভনীয়তা আইন’ অনুসারেও অনলাইনে ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা বিষয়বস্তুর জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে দায়ী করা যায় না। আদালতের নথিপত্র থেকে জানা যায়, জর্দানের রাজধানী আম্মানে মার্কিন সরকারের উদ্যোগে পরিচালতি একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত দুই মার্কিন নিরাপত্তা ঠিকাদার নিহত হওয়ার পর তাদের স্বজনরা সানফ্রান্সিসকো ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে একটি মামলা করেন। ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অধ্যয়নরত জর্দানের এক পুলিশ ক্যাপ্টেনের গুলিতে তারা মারা যান। গত বছর শেষেরদিকে ঘটনাটি ঘটে। পরবর্তী সময়ে আইএস দাবি করেছিল, তাদের গ্রুপের সমর্থক এক ‘একক হামলাকারী’ ঠিকাদার দুজনকে গুলি করেছিল। মামলার অভিযোগে বলা হয়, টুইটার চরমপন্থী গ্রুপগুলোর বার্তা ছড়িয়ে দিতে ‘বস্তুগত সহায়তা’ করছে। বিচারক ওরিক বলেন, এটি একটি নির্মম হত্যাকা- ঠিকই। তবে আইএসের প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হওয়ার জন্য টুইটারকে দায়ী করা যায় না। তবে সংশোধিত আকারে নতুন করে মামলা করার সুযোগ রাখেন বিচারক।
×