ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীতকালীন সবজি বাজারে আসছে, সরবরাহ পর্যাপ্ত

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২০ আগস্ট ২০১৬

শীতকালীন সবজি বাজারে আসছে,  সরবরাহ পর্যাপ্ত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। শিম, ফুলকপি, মূলা, লাল শাক ও পালংশাক পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। অপেক্ষাকৃত স্বাদ বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এসব সবজির চাহিদা রয়েছে। হাইব্রিড কৃষিপ্রযুক্তির কল্যাণে সারা বছর এসব সবজির ছিটেফোঁটা চোখে পড়লেও এবার ভাদ্র মাসেই পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সবজির বাড়ার চড়া হবে। কিন্তু শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় দামও স্বাভাবিক হয়ে আসছে। প্রতিকেজি বড় আকারের শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। গত বছর এই সময় ছোট সাইজের প্রতিকেজি শিম বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন স্বামীবাগের বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন। তিনি জানালেন, আগাম উঠলেও এবার শিমের স্বাদ অনেক ভাল। তাই শিমের সঙ্গে ফুলকপিও কেনা হয়েছে। দেশী জাতীয় মাছের সঙ্গে এসব সবজির স্বাদ আরও বেড়ে যায়। তিনি বলেন, এবার শিম ও ফুলকপির আকার ও সাইজ অনেক ভাল। ইতোপূর্বে এরকমটি দেখা যায়নি। ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা খলিল বলেন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি সবই পাওয়া যাচ্ছে। সরবরাহ বাড়ায় এসব সবজির দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে। প্রতিজোড়া ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। এছাড়া বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে সবজির যা দাম ছিল এ সপ্তাহে ওই দামে বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স, মুলা, ঝিঙা, চিচিংগা, বরবটি, পটল ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়। বেগুনের দাম কমে ৪০-৫০ টাকা প্রতিকেজি, কচুমুখী ৩০, ধনেপাতা ১২০, কাঁচামরিচ ১০০, করলা ৪০, পেঁপে ৩০, শসা ৩০, গাজর ৫০, কাঁচাকলা ৩০ (হালি), লেবু ২০ (হালি), মিষ্টি কুমারা ৩০ (পিস), লাউ ৩০ দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে শুক্রবার রাজধানীর বাজারে বেড়েছে রসুনের দাম। প্রতিকেজিতে ১০ টাকা বেড়ে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। ৫ টাকা দাম কমে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৩৫-১৫০ টাকা। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি এবং অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কোরবানি ঈদ সামনে পেঁয়াজের বাজার নিয়ে কারসাজির আশ্রয় নিতে পারেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকায়। কোন কোন বাজারে এই পেঁয়াজ ৫০ টাকায়ও বিক্রি করা হচ্ছে। তবে দেশীটির দাম বাড়লেও আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। বাড়তি দামে প্রতিকেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকায়। মসুর ডালের দাম কমানোর দাবি রয়েছে ভোক্তাদের। কারণ গত বছর এই সময়ে প্রতিকেজি মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১২০-১৩০ টাকায়। এছাড়া ডিম ৩২-৩৫, আলু ২২-২৫, চিনি ৬৭-৭০, আটা প্রতিকেজি ২৫-৩৫, চাল সরু ৪৪-৫৫, মাঝারি ৪০-৪৪ এবং মোটা ৩০-৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লবণ ২৫-৩৫, সয়াবিন খোলা প্রতিলিটার ৮০-৮৪, বোতল ৫ লিটার ৪৪৫-৪৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
×