ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ দিনেও গ্রেফতার নেই

আফসানা হত্যায় তেজগাঁও কলেজ ছাত্রের নাম উঠে এসেছে

প্রকাশিত: ০৮:৩২, ১৯ আগস্ট ২০১৬

আফসানা হত্যায় তেজগাঁও কলেজ ছাত্রের নাম উঠে এসেছে

নিয়াজ আহমেদ লাবু ॥ রাজধানীর মিরপুরে সাইক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আফসানা ফেরদৌস (২৪) হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিন পার হলেও পুলিশ এখনও হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সূত্র জানায়, এই হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে তেজগাঁও কলেজের নেতা রবিনের নাম উঠে এসেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টও আফসানার শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। এমনকি হাসপাতালে আফসানার লাশ ফেলে যাওয়ার সময় দুই যুবককে শনাক্তের সিসিটিভির ফুটেজও পুলিশের হাতে। এরপরও এই হত্যাকা-ে জড়িতদের গ্রেফতারের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিহতের পরিবারের পাশাপাশি ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের নেতা রবিন ও তার সহযোগীরা আফসানাকে হত্যা করেছে। নিহতের পরিবার জানান, আফসানার বাবা আখতার হোসেন ছয় মাস আগে মারা গেছেন। মা সৈয়দা ইয়াসমিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ২০১০ সালে আফসানা ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাসের পরে ঢাকার শেরেবাংলা মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে সেই কলেজ ছেড়ে দিয়ে ২০১৩ সালে মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় সাইক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামের একটি বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপত্য বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা সেনানিবাসের মানিকদী এলাকার একটি বাসায় থেকে পড়াশোনা করতেন তিনি। নিহতের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার রুহিয়া কানিকশালগাঁওয়ে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আফসানা দ্বিতীয়। শ্বাসরোধেই আফসানার মৃত্যু ॥ আফসানা ফেরদৌসীর মৃত্যু শ্বাসরোধের কারণে হয়েছে বলে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ নিশ্চিত হয়েছে। গলায় দাগ ছিল উল্লেখ করে ময়নাতদন্তকারী সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়ের মোঃ সফিউজ্জামান বলেন, এটা আত্মহত্যা না হত্যা এখনই বলতে চাই না। তবে শ্বাসরোধে নিহত হয়েছেন তিনি। হাসপাতালে আফসানার লাশ এলো কিভাবে ॥ গত শনিবার বিকেলে দুই যুবক সিএনজিতে করে আফসানাকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। পরে কৌশলে সটকে পড়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
×