ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শাহজালাল হয়ে পাচার হচ্ছিল বাংলাদেশী দুই টাকার নোট!

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ১৯ আগস্ট ২০১৬

শাহজালাল হয়ে পাচার হচ্ছিল বাংলাদেশী দুই টাকার নোট!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এতদিন মুদ্রা পাচার বলতে বিশ্বের দামি সব মুদ্রার নামই শুনেছেন সবাই। খবরের শিরোনাম হতো ডলার ইউরো অথচ এবার পাচারে নাম এসেছে বাংলাদেশের দুই টাকার নোট! একবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তো বলেই বসেছিলেন পাঁচ টাকার নিচে দেশে কোন মুদ্রা থাকবে না। পাচারের তালিকায় স্থান পাওয়া দুই টাকার নোটের এই চীন ও হংকং যাত্রা নিয়ে ঘোর রহস্যর জন্ম হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে ২৪ হাজার দুই টাকার নোট পাঠানো হচ্ছিল। কি উদ্দেশ্যে এসব নোট পাচার করা হচ্ছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কিনারা খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মইনুল খান রাতে জনকণ্ঠকে জানান বিষয়টি একেবারে আমাদের কাছে নতুন। তবে কেন দুই টাকার নোট পাচার, তা জানাতে পারেননি। তিনি বলেন তদন্ত চলছে এখনই মন্তব্য করা সমীচীন নয়। একটি পোস্টাল পার্সেলে করে হংকংয়ের ঠিকানায় মোট ২৪ প্যাকেটে ২৪ হাজার দুই টাকার নোট পাঠানো হচ্ছিল। প্রতি প্যাকেটে ছিল এক হাজার দুই টাকার নোট। পার্সেলে যাত্রাবাড়ীর ডাঃ রেদওয়ান নামে একজনের ঠিকানা লেখা ছিল। প্রাপকের জায়গায় নাম ছিল হংকংয়ের বাও রুই নামের একজনের ঠিকানা। আরেকটি পার্সেলে চারটি প্যাকেটে মোট ৪ হাজার দুই টাকার নোট ছিল। সেটির প্রাপকের ঠিকানা লেখা রয়েছে শেইফেঙ জিন, বেজিং, চীন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশী ৫৬ হাজার টাকা। তবে পাচারের এই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। কাস্টমস গোয়েন্দার ফেসবুক পাতায় এ ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। তবে পোস্টাল পার্সেলে এভাবে বাংলাদেশী মুদ্রা প্রেরণ করা যায় না। এতে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ হয়েছে। ঘোষণা ছাড়া এই টাকা প্রেরণ করায় শুল্ক আইনে মিথ্যা ঘোষণার অপরাধ হয়েছে। এর আগে ব্লেড তৈরিতে স্টিলের পাঁচ এবং দুই টাকার কয়েন প্রতিবেশী দেশে পাচার করা হতো। তবে এরপর এসব কয়েনের পুরত্ব কমিয়ে আনা হয়।
×