ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তায়কোয়ানদো-সাফল্য ঝাও-হুইয়ের

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১৯ আগস্ট ২০১৬

তায়কোয়ানদো-সাফল্য ঝাও-হুইয়ের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ খালি হাতে আত্মরক্ষার জন্য যে খেলা, তার নাম মার্শাল আট। চীনারাই চার হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে এই খেলাটির উদ্ভব ঘটিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এই খেলাটির নানা শ্রেণীবিভাগ আছে। তায়কোয়ানদো তেমনই একটি খেলা। ব্রাজিলের রিওতে অলিম্পিক চলছে, আর তায়কোয়ানদো ইভেন্টে কোন চীনা প্রতিযোগী স্বর্ণপদক জিতবেন না, তা কি হতে পারে? আর পারে না বলেই পুরুষদের ৫৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে সোনা জিতেছেন চীনের সুয়াই ঝাও। রুপা জিতেছেন থাইল্যান্ডের তাউইন হানপ্রাব। আর তাম্রপদক জিতেছেন যুগ্মভাবে দুজন। একজন ডোমিনিক প্রজাতন্ত্রের লুইসতো পাই এবং অন্যজন দক্ষিণ কোরিয়ার কিম তায়ে-হুন। ফাইনালে ঝাও ৬-৪ পয়েন্টে পরাভূত করেন হানপ্রাবকে। গত ১৫ আগস্ট ২১তম জন্মদিন ছিল ঝাওয়ের। তিনদিন পরেই নিজ ইভেন্টে সোনা করায়ত্ত করে জন্মদিনের সেরা উপহারটাই যেন পেয়ে গেলেন তিনি! এই উপহারের আরেকটা মাহাত্মও আছে। এই ইভেন্টে অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো স্বর্ণ জিতল চীন। যদিও ফাইনালে স্বর্ণ জিততে বেশ কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয় ঝাওকে। প্রতিপক্ষ হানপ্রাবই শুরুর দিকে বেশ ভাল খেলে পয়েন্টের হিসেবে এগিয়ে গিয়েছিলেন। পরে ঝাও ঘুরে দাঁড়ান এবং বাজিমাত করেন। সেই সঙ্গে মাতৃভূমি চীনের পদক ভা-ারে যোগ করেন আরও একটি মূল্যবান সোনার পদক। ছেলেদের বিভাগে চীন স্বর্ণ জিতলেও মেয়েদের মাইনাস ৪৯ কেজি বিভাগে কিন্তু কোন চীনা-সাফল্যই নেই। এমনকি ন্যূনতম তাম্রপদকও জেতেননি কেউ! দক্ষিণ কোরিয়ার ২২ বছর বয়সী কিম সো-হুই স্বর্ণ, সার্বিয়ার তিয়ানা বোগদানোভিচ রৌপ্য এবং আজারবাইজানের পাতিমাত আবাকারোভা এবং থাইল্যান্ডের পানিপাক ওঙ্গপাত্তানাকিত যুগ্মভাবে লাভ করেন তাম্রপদক। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে কিম ৭-৬ পয়েন্টে হারান তিয়ানাকে। ফেবারিট হিসেবেই সোনা জেতেন কিম। এটা তার প্রথম অলিম্পিক পদক জয়। এর আগে তিনি সোনা জেতেন ২০১১ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে (ফাইনালে হারান চীনের লি ঝাওয়িকে ১৩-৬ পয়েন্টে) এবং ২০১৩ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে (ফাইনালে হারান রাশিয়ার আনাস্তাসিয়া ভ্যালুয়েভাকে ৮-৭ পয়েন্টে) এবং ২০১৪ এশিয়ান গেমসে (ফাইনালে হারান চাইনিজ তাইপের লিন ওয়ান-তিংকে ১০-৪ পয়েন্টে)। ব্যর্থতা বলতে ২০১২ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তাম্রপদক জয়। বয়স যেহেতু এখনও হাতের নাগালে, সেহেতু কোরিয়ানকন্যা কিমকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধতেই পারে দেশটির ক্রীড়াপ্রেমীরা। এখন দেখার বিষয়, আগামী ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে এই সাফল্য ধরে রাখতে পারেন কিনা তিনি।
×