ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর উন্নয়নে উদ্যোগ নিল ভারত

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৯ আগস্ট ২০১৬

চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর উন্নয়নে উদ্যোগ নিল ভারত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র চ্যাংরাবান্ধার উন্নয়নের লক্ষ্যে ল্যান্ডপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা স্থলবন্দর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। মূলত বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এই বন্দর দিয়েই বাণিজ্য হয়। অথচ দরমার বেড়া ও টিনের চাল দেয়া ঘরেই চলছে পুলিশ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। শুল্ক দফতরের অফিসের পরিকাঠামোও নেই। ওই পথে প্রতিদিন কয়েকশ’ ট্রাক বাংলাদেশ যাতায়াত করে। গত বুধবার নবান্ন থেকে বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘চ্যাংরাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি’ গঠনের কথা ঘোষণা করেন। কোচবিহারের জেলা শাসককে চেয়ারম্যান করে ওই কমিটি গঠন করা হবে। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে ছিলেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান। ব্যবসায়ী সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল নিয়ে এ দিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে বিভিন্ন দাবিদাওয়া রাখেন ব্যবসায়ীরা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান। চ্যাংরাবান্ধা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্যকেন্দ্র। ওই পথ দিয়ে কোচবিহার, জলপাইগুড়িসহ উত্তরবঙ্গের একটি অংশের পাশাপাশি ভুটানের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ রয়েছে। নেপালের সঙ্গেও ওই পথে বাণিজ্য চলে। সে কারণে সেখানে সার্কভুক্ত সমস্ত দেশগুলো পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সেই জায়গা পরিদর্শন করে গেছেন। ওই রুট ধরে সার্ক রোডের কাজও শুরু হয়েছে। এরপরও ওই এলাকার উন্নয়ন তেমন কিছু হয়নি। কয়েক বছর আগে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় জয়রাম রমেশ চ্যাংরাবান্ধার উন্নয়নে প্রকল্প ঘোষণা করেন। এক ছাতার তলায় সমস্ত অফিস আনার কথা ঠিক হয়। আদতে তা হয়নি। এখনও দরমার বেড়া ও টিনের চাল দেয়া ঘরেই চলছে পুলিশ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। শুল্ক দফতরের অফিসের পরিকাঠামোও নেই। ওই পথে প্রতিদিন কয়েকশ’ ট্রাক বাংলাদেশ যাতায়াত করে। কয়েকশ ট্রাক সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। এজন্য কয়েক বছর আগে ট্রাক টার্মিনাল করা হলেও পুরো পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। এমনকি ওই পথে যাতায়াতের ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু বিশ্রামাগার, পানীয় জল, শৌচাগারের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু এখান দিয়ে ফি বছর ২৪ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। তারপরও সেখানকার মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের পরিকাঠামো বেহাল। তা নিয়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। ইলিশ মাছসহ যে কোন খাদ্য ওই পথে আনতে গেলে একটি টেস্টিং ল্যাবরেটরির প্রয়োজন। তাও করা হয়নি।
×