ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হজ যাত্রায় বিমানের আর কোন ফ্লাইট বাতিল হবে না ॥ মেনন

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৯ আগস্ট ২০১৬

হজ যাত্রায় বিমানের আর কোন ফ্লাইট বাতিল হবে না ॥ মেনন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ চলমান হজযাত্রায় বিমানের আর কোন ফ্লাইট বাতিল হবে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বিমান কর্তৃপক্ষ এজেন্সিগুলোকে মেসেজ দিয়ে টিকেট নেয়ার জন্য আহ্বান জানাবে। প্রথমবারের মতো অনলাইন পদ্ধতিতে হজ কার্যক্রম পরিচালনার কারণে কিছু সমস্যা হলেও সামনের দিনে তা আর থাকবে না বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ কথা জানান তিনি। এর আগে বিমান মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, এ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সি অব বাংলাদেশ (আটাব), হজ এজেন্সিস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং হজ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, এখন থেকে আর কারও প্রতি কোন দোষারোপ করার বিষয় নেই। মাহরাম ও হজযাত্রী পুনঃস্থাপন সহজীকরণ করা হয়েছে। তবে এক এজেন্সি ৫০ জনের বেশি হজযাত্রী পুনঃস্থাপন করতে পারবে না। গত ৪ আগস্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইট শুরুর পর আটটি ফ্লাইট বাতিল হয় এবং দুটি ফ্লাইট বাতিল ঠেকাতে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর পর বিমানের যাত্রী পরিবহনে পাঁচ হাজার আসন ঘাটতি হয়। ঘাটতি হওয়া এ আসন বুধবার থেকেই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অন্যদিকে ১০টি হজ ফ্লাইট বাতিলে হাবের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয় ও হজ পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগে বলা হয়, মাহরাম ও হজযাত্রী পুনঃস্থাপন (রিপ্লেসমেন্ট) করা হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজযাত্রী পুনঃস্থাপনে হাব ও এজেন্সিগুলোকে দায়ী করে। এ নিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার কয়েক দফা বৈঠক করে দুই মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা। সকালে বৈঠকের পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ফ্লাইট বাতিল হওয়ার বিষয়টির সমাধানে এখন থেকে ৩১৯ আসনের ফ্লাইটের পরিবর্তে ৪১৯ আসনের ফ্লাইট দেয়া হচ্ছে। ঢাকার সৌদি দূতাবাস খোলা থাকলে আজ শুক্রবার থেকে, না থাকলে শনিবার থেকেই নিয়মিত হজ ফ্লাইট চলবে। কোন ফ্লাইটেই আসন ফাঁকা যাবে না। আমরা সৌদি দূতাবাস শুক্রবার খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়েছি। ২০ হাজার হজযাত্রীর হজে যেতে না পারার শঙ্কা নিয়ে হাবের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাশেদ খান মেনন বলেন, এ পর্যন্ত সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ৭৩টি এবং বিমানের ৫২টি ফ্লাইট গেছে। এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন যাত্রীর মধ্যে চলে গেছেন ৪১ হাজার ৮৪০ জন। বুধবার পর্যন্ত ভিসা পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৪৫১ হজযাত্রী। বিমান এজেন্সিগুলো টিকেট নেয়ার জন্য মেসেজ পাঠিয়ে দেবে। শুরু এবং শেষের ১০ দিন করে হজযাত্রীদের বেশি চাপ থাকে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাঝের সময়টুকুতে হাজীরা কম যেতে চান। নির্ধারিত ফ্লাইটেই সবাইকে যাওয়া-আসার অনুরোধ করছি। সৌদি এ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বাতিল না হলেও বিমানের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সাউদিয়া এয়ারলাইন্স আগাম ৮০ শতাংশ টাকা নিয়ে নেয়। বিমান সেটা নেয় না। এ কারণে বিমানের হজযাত্রীরা রিলাক্সে থাকেন। হজ ফ্লাইট মিস না করারও অনুরোধ জানান বিমানমন্ত্রী। বৈঠকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুল জলিল, হজ সমন্বয় পরিষদের প্রধান ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিএইচ হারুন, হজ পরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল এবং হাব ও আটাবের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×