ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৯ আগস্ট ২০১৬

ঝলক

পড়বি পড় মালীর ঘাড়ে ভারতের কলকাতার সরকারী হাসপাতালগুলোয় মাঝে মধ্যেই আচমকা হানা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজে ফাঁকি চোখে পড়লে হাসপাতালের বড় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নকর্মী, কাউকেই মাফ করেন না তিনি। এই দৃশ্যের সঙ্গে কলকাতাসহ রাজ্যবাসী পরিচিত। এবার একই ধরনের ঘটনা দেখা গেল দিল্লীতে। সরকারী হাসপাতালের বাইরে রোগীর ভিড়, দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে অপেক্ষা- এসবই পরিচিত ছবি। কিন্তু সেই সময়ে হাসপাতালের ভেতরে কর্মীরা কী করেন? সবাই যে ফাঁকি মারেন, এমনটা নিশ্চয় নয়। কিন্তু কয়েক কর্মী যে সরকারী চাকরির সুবিধা নিয়ে অফিসে এসে কাজে চূড়ান্ত ফাঁকি দেন; তার প্রমাণ আবারও হাতেনাতে পাওয়া গেল। সাক্ষী থাকলেন খোদ দিল্লীর উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া। দিল্লীর একটি সরকারী হাসপাতালে সম্প্রতি আচমকা হানা দিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে তখন রোগীর অনেক ভিড়। কাউন্টারে কাউন্টারে লম্বা লাইন। এরই মধ্যে মণীশ শিশোদিয়ার নজর যায় এক কর্মীর দিকে। বাইরে যখন রোগীর লম্বা লাইন তখন নিজের আসনে বসে দিব্যি কম্পিউটারে সিনেমা দেখছিলেন ওই কর্মী। সিনেমা দেখায় তিনি এতটাই মগ্ন ছিলেন যে, খোদ উপমুখ্যমন্ত্রী তার পেছনে এসে দাঁড়ালেও তিনি টের পাননি। মণীশ শিশোদিয়া তাকে হাল্কা ধাক্কা দিয়ে ডাকতেই সম্বিত ফেরে ওই কর্মীর। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যতক্ষণে কম্পিউটারে চলতে থাকা সিনেমা বন্ধ করলেন ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এরপর দিল্লীর উপমুখ্যমন্ত্রী তাকে ধমকাতে শুরু করেন। ওই কর্মীর তখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। তিনি কার অধীনে কাজ করেন তাও জানতে চান মণীশ। বাইরে যখন রোগীর লম্বা লাইন তখন কীভাবে তিনি অফিসে এসে সিনেমা দেখছেন, ওই কর্মীকে সেই প্রশ্নও করেন উপমুখ্যমন্ত্রী। অভিযুক্ত কর্মী বার বার অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি। ওই দফতরের ইন্সপেক্টরকে অবিলম্বে ওই কর্মীকে সরিয়ে দিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন মণীশ। এ ঘটনার একটি ভিডিও আম আদমি পার্টির নিজস্ব ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে। ওয়েবসাইট অবলম্বনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন পেইন কিলার পেইন কিলারের পার্শ¦প্রতিক্রিয়ায় অনেক অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে সেদিন শেষ হতে চলেছে। এবার একদল বিজ্ঞানী পিজেডএম-২১ নামে এমন একটি পেইন কিলার আবিষ্কার করেছেন যেটির কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আবার এটি গ্রহণে কোন প্রকার আসক্তিও তৈরি হয় না। এই গবেষণা দলে নোবেলজয়ী রসায়নবিদ যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ব্রাইন কোবিলকাও রয়েছেন। এই ওষুধের প্রধান উপাদান হিসেবে আফিম গাছ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে ওষুধটির চমৎকার ফল পাওয়া গেছে। তবে আফিম গাছ থেকে তৈরি মরফিন নামক যে পেইন কিলার বাজারে রয়েছে সেটি সেবনে আশ্চর্যরকমভাবে ব্যথা কমে কিন্তু এটি অতিরিক্ত সেবন করলে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। কিন্তু একই পরিমাণ ওষুধ ইঁদুরকে খাওয়ানোর পর এটির মধ্যে কোন প্রকার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার লক্ষণ দেখা যায়নি। আবার আসক্তি তৈরি হওয়ারও কোন আলামত লক্ষ্য করা যায়নি। নতুন এই ওষুধ খাওয়ানোর পর ইঁদুরটির মস্তিষ্কে আরামবোধ হয়েছে। পাশাপাশি এটির মেরুদ-ে কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। নতুন এই গবেষণা বিষয়ে সম্প্রতি জার্নাল নেচার সাময়িকীতে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এতে গবেষকরা বলেছেন, পিজেডএম-২১ ক্ষমতাশালী ও কার্যকর একটি ব্যথানাশক। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এই ওষুধ সেবনে মানুষ অতিদ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।-ইন্ডিপেনডেন্ট অবলম্বনে
×