ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে দুই সীমান্তে রাখিবন্ধন উৎসব

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১৯ আগস্ট ২০১৬

পঞ্চগড়ে দুই সীমান্তে রাখিবন্ধন উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাটা’ এই প্রার্থনা নিয়ে ভারতীয় বিএসএফ বোন বাংলাদেশী বিজিবি ভাইয়ের কপালে ফোটা আর রাখিবন্ধনের মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম দুদেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ আরও সুদৃঢ় করল। এবারেই প্রথম জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দুটি সীমান্তে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হলো ঐতিহ্যবাহী রাখিবন্ধন উৎসব। সিঁদুরের ভাই ফোটা দিয়ে প্রত্যেক বিজিবি সদস্যকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। বিজিবি সদস্যরাও বিএসএফ বোনদের হাতে রজনীগন্ধার স্ট্রিক আর উপহার সামগ্রী তুলে দেন। রক্তের বন্ধন নেই। কিন্তু হৃদয় ভরা ভালবাসা আছে। আছে সংস্কৃতির টান। প্রতি বছরের শেষ পূর্ণিমায় প্রাচীন কাল থেকে এই উৎসব পালিত হয়। সীমান্তে উভয় বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে ভারতের বিএসএফের উদ্যোগে এ উৎসব পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পঞ্চগড়ের দেবনগর ইউনিয়নের সুকানী সীমান্তের ৭৪৪নং পিলারের সাব পিলার ৫ এসের কাছে কলকাতার দৈনিক জাগরণ পত্রিকার পক্ষ থেকে শিলিগুঁড়ি হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিজিবি সদস্যদের হাতে রাখি পরিয়ে দেয়। এরপর উপস্থিত ভারতীয় নাগরিকরা বিজিবি সদস্যদের ভাই ফোটা দিয়ে মিষ্টিমুখ করান। একইদিন দুপুরে বাংলাবান্ধা সীমান্তের ফুলবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পে নারী সদস্যরা বিজিবি সদস্যদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন। এরপর ভাই ভোটা দিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়। এ সময় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ সদস্যদের শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এ অনুষ্ঠানে ১৮ বিজিবির ডিএডি ইমাম হোসেনসহ বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বাংলাবান্ধা সীমান্তের ভারতের ফুলবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যেগে রাখিবন্ধন উপলক্ষে উৎসব আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে পশ্চিম বঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণমন্ত্রী জেমস খুজুর, শিলিগুড়ি বিএসফএর ডি আইজি আরসি সিং, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আল হাকিম মোহাম্মদ নওশাদ, পঞ্চগড় চেম্বারস অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি এটিএম কামরুজ্জামান শাহানশাহ, শিলিগুড়ি চেম্বারের তপন রায়, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি এ রহমান মুকুলসহ বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্তরের নাগরিক ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
×