ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে এক বিষয়ে অকৃতকার্য ১৭ হাজার

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৯ আগস্ট ২০১৬

রাজশাহীতে এক বিষয়ে অকৃতকার্য ১৭ হাজার

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের অনেকে এইচএসসিতে এসে হারিয়েছে সাফল্য। অনেকেই এবার ধরে রাখতে পারেনি সাফল্যের ধারাবাহিকতা। একটি মাত্র বিষয়ের কারণে ধরা খেয়েছে অনেকে। সার্বিকভাবে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এইচএসসিতে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে ১৭ হাজার শিক্ষার্থী, যার হার গত সাত বছরের ব্যবধানে বেড়েছে। আর এবার ইংরেজীতে অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ হাজার ৮৩৮ শিক্ষার্থী। এ বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে শুধু একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে ১৭ হাজার ১১৩ শিক্ষার্থী। এক বিষয়ে গত বছর (২০১৫ সালে) অকৃতকার্যের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৯৯২ জন। রাজশাহী বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী গত সাত বছরে এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে। ২০১১ সালে এ সংখ্যা অনেকটা কমে এলেও এর পর থেকে তা বাড়তে থাকে। ২০১১ সালে এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৬২১ জন। এর আগেরবার ২০১০ সালে ছিল ১৪ হাজার ৪০৮ জন। এর পর এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে। বোর্ডের তথ্যানুযায়ী ২০১২ সালে মাত্র একটি বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ১৩৯ জন, ২০১৩ সালে ১২ হাজার ৭৮১ জন, ২০১৪ সালে ১৪ হাজার ৬২৯ জন, ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৯৯২ জন আর এ বছর এক বিষয়ে ধরাশায়ী হয়েছে ১৭ হাজার ১১৩ জন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এ্যানালাইসিস অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর রাজশাহী বোর্ডের অধীন শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ ধরা খেয়েছে ইংরেজী বিষয়ে। এছাড়া বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা ধরাশায়ী হয়েছে পদার্থবিজ্ঞানে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এ বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে শুধু ইংরেজীতে অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ হাজার ৮৩৮ শিক্ষার্থী। এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ পদার্থবিজ্ঞানে ধরাশায়ী হয়েছে। কক্সবাজারে ছেলেরা এগিয়ে স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারে পাসের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। ছেলেদের পাসের হার ৬৬ দশমিক ০৯ শতাংশ, আর মেয়েদের পাসের হার ৬১ দশমিক ৯১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে ছেলেরা। জিপিএ-৫ পাওয়া ৬৬ জনের মধ্যে রয়েছে ৩৮ জন ছেলে। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২৯ ছেলে ও ২২ মেয়ে। মানবিক বিভাগে মাত্র একজন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন, যেখানে রয়েছে নয়জন ছেলে এবং পাঁচজন মেয়ে। এ জেলায় গত বছরের তুলনায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে। এবার জেলায় পাসের হার ৬৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা গতবারের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ কম।
×