ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজাদপুরে বন্যায় তাঁত ও খামারের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১৮ আগস্ট ২০১৬

শাহজাদপুরে বন্যায় তাঁত ও খামারের ব্যাপক ক্ষতি

সংবাদদাতা, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ, ১৭ আগস্ট ॥ এবারের ভয়াবহ বন্যায় দুই উৎপাদনের জনপদ ও তাঁতশিল্পের কেন্দ্রবিন্দু সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাসহ এর আশপাশের এলাকার তাঁতী ও গো-খামারিদের অর্থনীতির চালিকাশক্তি তাঁত ও গো-শিল্পের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় শাহজাদপুরসহ আশপাশের নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীর তাঁত কারখানায় পানি প্রবেশ করায় ও পোকামাকড়ের উপদ্রবে এবং কাঁচা ঘাসের তীব্র সঙ্কটে দুগ্ধ উৎপাদন অর্ধেক হ্রাস পাওয়ায় তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। বন্যার পানিতে শাহজাদপুর উপজেলার ১০ হাজার হেক্টর গো-চারণ ভূমি ডুবে যাওয়ায় গো-খাদ্য কাঁচা ঘাসের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে দুগ্ধসমৃদ্ধ শাহজাদপুরসহ আশপাশের এলাকায় দুগ্ধ উৎপাদন অর্ধেক হ্রাস পেয়েছে। বন্যাজনিত কারণে এ এলাকার প্রায় ১৫ হাজার তাঁত বন্ধ হওয়ায় শাহজাদপুরসহ আশপাশের এলাকার প্রায় ৩০ হাজার তাঁতী ও শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর দিনযাপন করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যায় সুতা প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত প্রায় সকল পর্যায়ের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বন্যাজনিত কারণে পোকামাকড়ের উপদ্রব হওয়ায় তাঁতের তেনা কেটে ফেলায় এবং কাঁচা ঘাসের অভাবে দুগ্ধ উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সুন্দরগঞ্জে তিস্তার তীব্র ভাঙ্গন ॥ ৭শ’ পরিবার নিঃস্ব নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৭ আগস্ট ॥ বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দু’সপ্তাহে এ উপজেলায় নদী তীরবর্তী প্রায় ৭শ’ পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জানা গেছে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকেই সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে ১ হাজার হেক্টর আবাদি জমি, গাছপালা ও বাঁশঝাড় নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলায়মান জানান, বর্তমানে ভাটি বুড়াইল, পূর্ব লালচামার ও উজান বুড়াইলে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, শুধু কাপাসিয়া ইউনিয়নেই এ পর্যন্ত ৫শ’ ১১টি পরিবার বিলীন হয়েছে। হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম জানান, চর মাদারীপাড়া, হাজারীর হাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনে ১শ’ ৫০ পরিবার বসতবাড়ি হারিয়েছে। এছাড়া চন্ডিপুর, বেলকা ও তারাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গনে বাড়িঘর হারিয়েছে ৮৯টি পরিবার।
×