ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জার্মান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি

চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হলো

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৮ আগস্ট ২০১৬

চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হলো

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে সাগরপাড়ে ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ লাভ করার পথে আরও একধাপ অগ্রগতি সাধিত হলো জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে। বুধবার সকালে জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আট থেকে নয়মাসের মধ্যে শেষ হবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ। এরপর সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী শুরু হবে প্রায় ৯০৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া। বহুল প্রত্যাশিত বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বুধবার বেলা এগারোটার দিকে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হামবুর্গ পোর্ট কনসাল্টিংয়ের বেনজামিন লিডার ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল। জার্মানির বিশেষায়িত এ প্রতিষ্ঠানটি অচিরেই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করবে। সম্ভাব্যতা যাচাই খাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যয় হবে প্রায় ৮ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর উপকূলে জেগে ওঠা চরে নির্মিত হবে এই টার্মিনাল, যা ছিল আমদানি রফতানিকারক ও ট্রেড বডিগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি। বন্দর কর্তৃপক্ষও সেখানে একটি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু মাঝে জটিলতার সৃষ্টি হয় সেখানে বে টার্মিনাল নাকি স্মার্ট সিটি হবে তা নিয়ে। এ নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) তথা গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এক ধরনের রশি টানাটানি চলে। অবশেষে সেখানে বে-টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমদানি-রফতানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বিদ্যমান চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে পরিষেবা প্রদান কঠিন হয়ে পড়বে বিধায় বন্দরের সম্প্রসারণ ও নতুন নতুন বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বে-টার্মিনালকে বিদ্যমান চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ হিসেবে নেয়া হলেও এটা এক ধরনের নতুন বন্দর। এ টার্মিনালে ভেড়ানো যাবে বড় জাহাজ। বন্দর সূত্রে জানা যায়, বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই কর্তৃপক্ষের অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। বন বিভাগের অনাপত্তি এবং পুলিশের অনাপত্তিপত্র কাগজপত্রও জমা দেয়া হয়েছে। পরিবেশ ছাড়পত্র চলতি মাসের মধ্যেই পাওয়ার আশা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। অবকাঠামো গড়তে ৯০৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও চলছে। জায়গাটি নতুন জেগে ওঠা চরের খাস ভূমি হওয়ায় এক্ষেত্রে জটিলতার মুখে পড়ার আশঙ্কা নেই। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে সেখানে ১০ থেকে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো যাবে। বিদ্যমান চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ানো সম্ভব হচ্ছে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫০ ড্রাফটের জাহাজ।
×