ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন পুরুষের চেয়ে নারী কয়েদি বেশি!

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৮ আগস্ট ২০১৬

মার্কিন পুরুষের চেয়ে নারী কয়েদি বেশি!

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার বাসিন্দা ডলফিনেট মার্টিন (৪৬)। ২০০৫ সালে তিনি দোকানে কাপড় চুরির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন। কোকেনে আসক্ত এ নারীর তখন পাঁচ সন্তান থাকলেও ছিল না কোনো টাকাকড়ি। সাত বছর পর ২০১২ সালে মার্টিন জেল থেকে মুক্তি পান। মার্টিন এখন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক সহকারী হিসেবে কাজ করেন। বুধবার ভেরা ইনস্টিটিউট অব জাস্টিস ও সেফটি এ্যান্ড জাস্টিস চ্যালেঞ্জের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক কারাগারে বর্তমান নারীর সংখ্যা ১৯৭০-এর দশকের তুলনায় ১৪ গুণ বেশি যা পুরুষ বন্দীর তুলনায় অনেক বেশি। জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ৩২ হাজার পৌরসভা ও কাউন্টির কারাগারে লঘু অপরাধের জন্য আটক নারী বন্দীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০১৪ সালে এর সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার। ১৯৭০ সালে ছিল ৮ হাজারের কিছু কম। ডলফিনেট মার্টিন দোকানে চুরির অভিযোগে ১০ বার আটক হয়েছিলেন এবং লুইজিয়ানায় ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জেল খেটেছেন। ভেরা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, মার্টিনের মতো আটক অধিকাংশ নারীই দরিদ্র, যারা আফ্রিকান-আমেরিকান অথবা লাতিনো। তাদের রয়েছে মাদকাসক্তি সমস্যা। এসব নারীর ৮০ ভাগের আবার রয়েছে সন্তান। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব নারীর অধিকাংশই লঘু অপরাধে অভিযুক্ত। কিন্তু জামিনের শর্ত ভঙ্গ, ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থতা অথবা আদালতের নির্দেশ অমান্যের কারণে কারাগারে আটক নারীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অন্যরা জামিনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অথবা কোর্ট ফি ও জরিমানা দিতে অক্ষম। ব্যুরো অব জাস্টিস স্ট্যাটিস্টিকসের হিসাবে, মাদক রাখা অথবা ব্যবহারের দায়ে ১৯৮০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে আটক পুরুষের সংখ্যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ, কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে তা তিন গুণ। সাক্ষাতকারে মার্টিন বলেন, তার পাঁচ সন্তানের প্রত্যেকেই স্কুলে বেশ ভালো করছিল, কিন্তু তিনি দোকানে চুরির কারণে আটক হওয়ার পর তার অনুপস্থিতিতে সন্তানেরা স্কুলে ভাল কিছু করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। মার্টিন বলেন, ‘যখন দেখবে তোমার সন্তানেরা বেঁচে থাকার জন্য পথে নেমেছে তখন তোমার পরিতাপের আগুনে পুড়তে হবে এবং নিজেকে মহা অপরাধী মনে হবে।’ - নিউইয়র্ক টাইমস
×