ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অননুমোদিত নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৮ আগস্ট ২০১৬

অননুমোদিত নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনুমোদন ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাচাই করে করণীয় নির্ধারণে টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিন ধরনের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। টাস্কফোর্সগুলোকে আগামী এক মাসের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে ২০১১ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা জারি করলেও এখন পর্যন্ত তাতে সাড়া মেলেনি। অধিকাংশ নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন সরকারের নিবন্ধনের আওতায় আসেনি। দেশে কতগুলো কিন্ডারগার্টেন রয়েছে তার সঠিক তথ্যও সরকারের কাছে নেই। এমন এক অবস্থান মন্ত্রণালয় টাস্কফোর্স গঠন করল। মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, আশা করা হয়েছিল যে, জারিকৃত বিধিমালার আলোকে নার্সারি, প্রিপারেটরি বা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধিত ও পরিচালিত হবে। কিন্তু বিধিমালা উপেক্ষা করে বেসরকারী উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। লক্ষ্য করা যায় এসব বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধা, ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ভর্তি ফি নির্ধারণ, প্রযুক্তি ব্যবহার ও পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে পাঠ্যবইয়ের আধিক্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। টাস্কফোর্স কমিটিগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যমের নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেনসহ সব ধরনের বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি বা নিবন্ধন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী ভর্তি ফি, ফি নির্ধারণ ও আদায়, ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াও প্রাসঙ্গিক অন্য তথ্যও পরীক্ষা করবে এসব টাস্কফোর্স। এর বাইরে টাস্কফোর্স কমিটিগুলোকে বিদ্যালয়ের পাঠদান, সহ-শিক্ষাক্রম, আর্থিক কর্মকা-, শ্রেণীভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক অন্তর্ভুক্তি যাচাই করতে বলা হয়েছে। বিভাগীয় বা মহানগর এলাকার টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বিভাগীয় কমিশনারকে। পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে এই টাস্কফোর্সের সদস্য এবং বিভাগীয় উপ-পরিচালককে সদস্য সচিব করা হয়েছে। জেলা প্রশাসককের নেতৃত্বে জেলা টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সমাজসেবা উপ-পরিচালককে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এই টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব। উপজেলা টাস্কফোর্সের সভাপতি করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এর সদস্য। এই টাস্কফোর্সের সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। আদেশে বলা হয়েছে, বিভাগীয় টাস্কফোর্স প্রয়োজনে জেলা বা উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটিকে নির্দেশনা ও পরামর্শ দিতে পারবে। অনুরূপভাবে জেলা টাস্কফোর্সও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটিকে নির্দেশনা ও পরামর্শ দেবে।
×