জীবনে ফের একটা বদল হলো। কেমন উপভোগ করছেন?
খুব বেশি বদল যে হয়েছে, এমন নয়। সিঙ্গল থেকে মিঙ্গল হয়েছি। বাকি সব যেমন চলছিল তেমনই আছে। আসলে বিয়ে নিয়ে সকলে এত প্রশ্ন করছে যে, এবার আমার অস্বস্তি হচ্ছে।
সেটাই তো স্বাভাবিক!
হ্যাঁ। আমিও বুঝতে পারছি সেটা। ভাল লাগছে নতুন করে জীবনটা শুরু করতে পেরে। আমি একটু সংসারী মেয়ে। সকলকে নিয়ে সংসার করতে ভালবাসি। চেষ্টা করছি নতুন জীবনে ভাল থাকার।
কী দেখে মনে হলো, কৃষণ আপনার জীবনসঙ্গী হতে পারেন?
জীবনসঙ্গী হওয়ার আগেই ও আমার খুব বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। সেই থেকেই মনে হলো এর সঙ্গে পথ চলা যায়। মনে হয় ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি!
কৃষণ মুম্বাইয়ের ছেলে। আপনিও কি মুম্বাইয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন?
কৃষণ কিন্তু মাঝেমধ্যেই কলকাতায় থাকে। এখন যেমন টানা অনেকদিন রয়েছে। এই বর্ষার সময়টা মুম্বাইয়ে খুব একটা মডেলিং এ্যাসাইনমেন্ট থাকে না। ফ্যাশন শো’ও থাকে না। তাই এই দু’মাস কলকাতায় চলে এসেছে। অগস্টের শেষ থেকে আবার মুম্বাইয়ে চলে যাবে।
আর আপনি?
যদি মুম্বাইয়ে গিয়ে কাজের কথা বলেন, তাহলে বলব আমি এতটাই কুঁড়ে যে এখন মুম্বইয়ে গিয়ে নতুন করে ক্যারিয়ার শুরু করার কথা ভাবতে পারব না। আগেও চেষ্টা করিনি। তাহলে ওখানে গিয়ে থাকতে হতো। স্ট্রাগ্ল করতে হতো। আসলে টালিউডে আমি এত স্বচ্ছন্দ আর খুশি যে, কোন দিন মুম্বাইয়ে যাওয়ার কথা ভাবিনি। এত ছোট থেকে এখানে কাজ করছি, যে পরিচালক-প্রযোজক সকলেই ভালবাসেন।
মডেলিং থেকে অনেকেই সিনেমায় আসেন। কৃষণেরও কি তেমন ইচ্ছে রয়েছে?
ও এখন মডেলিংয়ে মন দিতে চায়। তবে পরে অভিনয়ে আসতেই পারে। আর নায়িকা তো আমি রয়েছিই (হাসি)!
বাংলাদেশে তো ছবি করছেন?
ভারত-বাংলাদেশ প্রযোজনার ছবি করতে গেলে যে বাংলাদেশে গিয়েই থাকতে হবে, এমন তো নয়। বাংলাদেশের কাজ করার ধরনটা আবার আলাদা। ওখানে গিয়ে কাজ করতে কিন্তু আমার কোন আপত্তি নেই। এবার গিয়ে অনেক খেয়েছি! প্রচুর ইলিশ খেয়েছি। ওরা অনেক রকমের ভর্তা বানায়। চিংড়ির ভর্তা তো দারুণ খেতে! বাংলাদেশে আমার প্রচুর ভক্ত। ওরা সত্যিই বাংলা ছবি দেখে। যেটা কলকাতায় আমরা দেখতে পাই না। বাঙালী ছেলেমেয়েদের নাকি বাংলা ছবি দেখতে ইচ্ছে করে না! এদের ওপর আমার ভীষণ রাগ হয়। বাংলাদেশে কিন্তু সকলে বাংলা ছবি দেখে।
ক্স ‘শেষ সংবাদ’এ তো আপনি সাংবাদিকের চরিত্রে...।
এর আগে ‘কানামাছি’তেও সাংবাদিক হয়েছিলাম। তবে ওটা অনেক বেশি বাণিজ্যিক ছবি। ‘শেষ সংবাদ’ তুলনায় অনেক সিরিয়াস। আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা ছবি।
এখানে আপনিই প্রধান চরিত্র?
হ্যাঁ।
মসালা বাণিজ্যিক ছবিতে বলিষ্ঠ মহিলা চরিত্র দেখা যায় না। আক্ষেপ হয় না?
ঠিকই। মহিলা প্রটাগনিস্ট খুব কম ছবিতে থাকে। সবটাই পরিচালক-প্রযোজক অথবা দর্শকের ওপর নির্ভর করে। অভিনেত্রী হিসেবে আমি তো সব সময়ই চাইব নায়িকাপ্রধান ছবি করতে! আমি নিজেও এটা অনেককে বলে থাকি।
দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ
সূত্র : এবেলা
শীর্ষ সংবাদ: