ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১১ কোম্পানির অফিস নেই

কোনদিনই কেনা-বেচা হয়নি ১৩ কোম্পানির

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৮ আগস্ট ২০১৬

কোনদিনই কেনা-বেচা হয়নি ১৩ কোম্পানির

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) ১৩ কোম্পানির কোন শেয়ার কেনা-বেচা হয়নি। এছাড়া আরও ১১টি কোম্পানির অফিস না থাকারও অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র মতে, ওটিসিতে (ওভার দ্য কাউন্টার) বর্তমানে ৬৬টি কোম্পানি আছে। এর মধ্যে ৪১টি কোম্পানির কিছু শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ কোম্পানির কোন শেয়ার লেনদেন হয়নি বাজারে আসার পর থেকে। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১০টির শেয়ার ডিমেট হয়েছে। লেনদেন না হওয়া কোম্পানির তালিকায় রয়েছে আজাদী প্রিন্টার্স, বেঙ্গল প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ হোটেলস, বাংলাদেশ লীফ টোব্যাকো কোম্পানি, ডায়নামিক টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলস, হীল প্লান্টেশন, মডার্ন ইন্ড্রাস্টিজ, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ, পেট্রো সিনথেটিক প্রডাক্টস, ফিনিক্স লেদার কমপ্লেক্স, কাসেম টেক্সটাইল মিলস ও টিউলিপ ডেয়ারি এ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড। এর মধ্যে আজাদী প্রিন্টার্সের শেয়ার সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬২২টি, বেঙ্গল প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ লাখ, বাংলাদেশ হোটেলের ৪ লাখ ৫০ হাজার, বাংলাদেশ লীফ টোব্যাকোর ৮ লাখ ১৩ হাজার ৬০০টি, ডায়নামিক টেক্সটাইলের ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫০টি, ঈগল স্টারের ৫২ লাখ ৮০ হাজার, হিল প্লানটেশনের ১ লাখ ৫০ হাজার, ম্যাক এন্টারপ্রাইজের ২৫ লাখ, মডার্ন ইন্ড্রাস্টিজের ১৩ লাখ, পেট্রো সিনথেটিকস প্রডাক্টসের ৪ লাখ ২০ হাজার, ফনিক্স লেদারের ৭৫ হাজার, কাসেম টেক্সটাইলের ১৩ লাখ ৮০ হাজার ও টিউলিপ ডেইরির ২ লাখ ৩৯ হাজার শেয়ার রয়েছে। এছাড়া আরও কিছু কোম্পানির গত পাঁচ বছরে কোন লেনদেন হয়নি। এগুলো হলো : ইমাম সী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ প্লান লিমিটেড, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিসিটি মেট্রো কোম্পানি, চিক টেক্স লিমিটেড, জার্মান বাংলা জে. ভি. মেটালেক্স কর্পোরেশন, এম হোসাইন গার্মেন্টস ওয়াশিং এ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড, মডার্ন সিমেন্ট, ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল, রাঙ্গামাটি ফুড প্রডাক্টস, রাসপিট ইন্স্যুরেন্স, রাসপিট ডাটা ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন, সালেহ কার্পেট, থেরাপিউটিকস বাংলাদেশ। এসব কোম্পানিতে আটকে রয়েছে বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা। এর মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ এবং কোন অফিস না থাকার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে ওটিসির মধ্যে অফিস না থাকার অভিযোগ রয়েছে আমান সী ফুড, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক মিটার কোম্পানি, জার্মান বাংলা জে ভি ফুড, চিক টেক্স লিমিটেড, এম হোসাইন গার্মেন্টস ওয়াশিং এ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড, মেটালেক্স কর্পোরেশন, ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল, রাঙ্গামাটি ফুড প্রডাক্টস, রাসপিট ডাটা ম্যানেজমেন্ট, রাসপিট ইন্স্যুরেন্স বিডি লিমিটেড এবং সালেহ কার্পেট। তবে এসব কোম্পানির এখনও কাগুজে শেয়ার থাকায় লেনদেন হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ডিএসইতে ওটিসি মার্কেট চালু করা হয়। ছোট মূলধনের কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির জন্য এ বাজারের জন্ম হলেও নতুন কোন কোম্পানি এ বাজারে আসেনি। বরং মূল মার্কেটে কিছু মন্দ কোম্পানিকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এখানে পাঠানো হয়। একে তো মন্দ কোম্পানি, তার ওপর লেনদেন পদ্ধতির জটিলতা- তাই এ বাজারে কখনই তেমন লেনদেন হচ্ছে না।
×