ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দূর হোক অন্ধকার

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১৮ আগস্ট ২০১৬

দূর হোক অন্ধকার

‘সংস্কৃতি’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ পরিমার্জনা, উৎকর্ষ, পরিশীলন প্রভৃতি। ‘সংস্কৃতি’ অর্থে তাই শুভ কল্যাণ ও সুন্দরের সাধনা-প্রতিষ্ঠা বুঝায়। সংস্কৃতি হলো কোন জনপদের জনসমষ্টির সুনির্দিষ্ট জীবনপদ্ধতি এবং ঐ জনসমষ্টির প্রচলিত ভাষা, গালগল্প, সঙ্গীত, চারুকলা, কারুশিল্প, ভাস্কর্য, আত্মীয়তা, পার্বণ-অনুষ্ঠান, ধর্ম, নৈতিকতা, খাদ্যাভাস, প্রযুক্তি, সামাজিক সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়কে বুঝায়। আসলে সংস্কৃতির অর্থ আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত। মানুষ সতত চায় সুখকে অর্জন করতে কিন্তু সে পারে না। এ না পারার পিছনে তার কিছু অজ্ঞতাও লুকিয়ে থাকে। এই অজ্ঞতাকে আমরা অন্ধত্ব বলতে পারি। কিন্তু সংস্কৃতিবান মানুষ এর প্রভাবমুক্ত। যারা অজ্ঞতার অন্ধকারে ঢাকা তারাই মূলত সন্ত্রাসী এবং জঙ্গীবাদী। বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস বলেছেন, ‘কহড়ি ঃযুংবষভব’ নিজেকে জান। পাক কোরানের একই কথা ‘মান আরাফা নাফসাহু, ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু।’ অর্থাৎ যে নিজেকে চিনেছে সে চিনেছে খোদাকে।’ আমি বলব, আরও গভীরে গিয়ে সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনকে সঠিক রূপে দেখা। নিজেকে চিনতে পারা। জগতের মর্ম অনুধাবন করা। জীবন কী? ধর্ম কী? এসবও সংস্কৃতির বাইরে নয়। একজন শিল্পী সাহিত্যিক বা সংস্কৃতিমনা মানুষ নিজেকে জানেন। তার হৃদয়ে আনন্দের ফল্গুধারা ক্রমাগত ভেতর বাইরে প্রবাহিত হয়। তাই তিনি এ ভালবাসার কাছে অন্যকে সমর্পিত করতে চান। তিনি কোমল স্বভাবের হন, কঠোরতা বা ধ্বংস তার বিধানে থাকে না। তার ভিতর অবক্ষয়, মিথ্যাচার থাকতে পারে না। মূল্যবোধহীন হতে পারেন না। মানবতাবিরোধী হতে পারেন না। গুলশান, ঢাকা থেকে
×