ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোরছালিন ইসলাম মাছুম

কেন এ বিপথগামিতা

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১৮ আগস্ট ২০১৬

কেন এ বিপথগামিতা

সংস্কৃতি যে কোন জাতির জীবন চেতনা। জাতির চিন্তাধারা, ভাবধারা, ও কর্মধারার গৌরবময় প্রতিচ্ছবি হলো সংস্কৃতি। ‘সংস্কৃতি কথা’ প্রবন্ধে মোতাহের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সংস্কৃতি মানে সুন্দরভাবে বাঁচা, বিচিত্রভাবে বাঁচা, মহৎভাবে বাঁচা? অর্থাৎ বেঁচে থাকার জন্য মানুষের প্রচেষ্টাই সংস্কৃতি। এর বিপরীত হলো অপসংস্কৃতি। অপসংস্কৃতি জীবনের সৌন্দর্য বিকাশকে বাঁধাগ্রস্ত করে। এর স্পর্শে মানুষের মন কলুষিত হয়। পরিশীলিত, মার্জিত ও উন্নত জীবনবোধের হয় অপমৃত্যু। কিন্তুু পরিতাপের বিষয় হলেও সত্য যে, অপসংস্কৃতি সংস্কৃতির আসন দখল করে নিতে পারে। আজ দেখছি সত্য ও সুন্দরকে বর্জন করে কিছু তরুণ উগ্র জীবনবোধে মাতাল হয়ে উঠেছে। আগে তরুণরা খেলাধুলা ও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানেরর মাধ্যমে বিনোদনের চাহিদা পূরণ করতো। কিন্তু এখন বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি। ফলে তাদের সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা হচ্ছে না। এই শূন্যতা ও সুযোগকে ব্যবহার করে তরুণদেরকে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে যুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়াও সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার অভাবে তরুণরা পরিবার ও সমাজ থেকে বিছিন্ন হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৈতিক শিক্ষা না দিয়ে ভুল শিক্ষা দিচ্ছে। এতে নৈতিকতা বিবর্জিত হয়ে বর্বর হিংস্র হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ রক্ষা করতে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমদের যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তা যদি দেশকে ভালবাসতে সাহায্য না করে, মানবতাবোধ ও মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে না পারে, যদি জীবনকে প্রেমময় করে তুলতে না পারে তাহলে সে শিক্ষা অপশিক্ষারই নামান্তর। আর এ অপশিক্ষা থেকে অপসংস্কৃতি মাথা তুলে দাঁড়ায়। অপসংস্কৃতির কবলে পড়ে তরুণরা অধোঃপতিত হচ্ছে। তরুণদের এ পতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য দরকার কার্যকারী পদক্ষেপ। তরুণরা দেশের প্রাণশক্তি ও উন্নয়নের প্রধান কারিগর। তরুণদেরকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও সকল প্রকার ঘৃণ্য কার্যাবলী নির্মূল, সুস্থ ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে দেশীয় সংস্কৃতি প্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×